টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে এসে রণনীতি বদলাতে চলেছে ভারত। নিউইয়র্কের পিচে চার পেসার নীতিতে সফল হয়েছিল রোহিত শর্মারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার বার্বাডোজে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে স্পিন- তাস খেলতে পারে ভারত। সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। রোহিত প্রথম থেকেই বলে আসছেন, “ওপেনিং জুটি আমরা বদল করতে চাই না। কিন্তু তিন নম্বর জায়গা কারও ফিক্সড নয়। ম্যাচের লাইন আপ পরিস্থিতি অনুযায়ী বদল হতেই পারে বলেও জানিয়ে রেখেছেন ভারত অধিনায়ক। কেনসিংটন ওভালে উইকেট নিউইয়র্কের মতো বেয়াক্কেলে নয়। ব্যাটাররা স্ট্রোক খেলতে পারবেন। কিন্তু স্পিনাদেরও জন্য এই উইকেটের ঘূর্ণি থাকবে। নেটের যে ছবি টিম ইন্ডিয়া দিয়েছে তাতেও পরিষ্কার বিরাট-রোহিতরা স্পিনারদের খেলতে বেশি সময় দিয়েছেন। কারণ, আফগানিস্তান দলে রশিদ খানদের মতো বিশ্বমানের বোলার আছেন। এই ধরনের উইকেট সূর্য কুমারের সফল হওয়ার সুযোগ বেশি। তার উইকেট রশিদ খানের কাছে খুব জরুরী হবে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে সূর্য বলেছেন ,”স্পিন খেলাটা বরাবরই আমার প্লাস পয়েন্ট। কন্ডিশন কেমন বা বোলাররা কী করতে চায় ,আমার কাছে খুব বেশি ম্যাটার করে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমি শট খেলবই”। এবার বোলিং ডিপার্টমেন্টে বদল করতে হলে তিন পেসারের মধ্যে একজনকে বসিয়ে কুলদীপ বা চাহালকে খেলানো সম্ভবনা। তাহলে সিরাজকে ডাগ আউটে থাকতে হবে। আফগানিস্তান টিমের দিকে তাকালে ত্রিমুখী স্পিন এট্যাকই ১ নম্বর অস্ত্র। ক্যাপ্টেন রশিদ খানের সঙ্গে থাকছেন নুর আহমেদ ও মহম্মদ নবি। সুপার এইট পর্ব থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে খেলার সুযোগ পেয়ে খুশি কোচ দ্রাবিড়। তিনি বলেছেন ,”ওয়েস্ট ইন্ডিজে এসে সত্যিই ভালো লাগছে। দু’টো দিন অনুশীলনেরেও সুযোগ পেয়েছি ।প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানকে নিয়ে দ্রাবিড়ের মন্তব্য ,”আফগানিস্তান খুব বিপজ্জনক দল। আমাদের থেকে ওদের ক্রিকেটাররা বেশি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে।
ওদের হালকাভাবে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। যোগ্য দল হিসেবেই সুপার এইটে উঠেছে”। কেনসিংটন ওভালে ভারতের টি-টোয়েন্টি রেকর্ড খুব সুবিধার নয় ।২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এই মাঠে দুটো ম্যাচে হেরেছিল ভারত। একটা অস্ট্রেলিয়া পণ্যটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুটোতেই হারতে হয়েছিল। সেই ২০১০ বিশ্বকাপের টিম থেকে এবার এই টিম আছে শুধু রোহিত আর জাদেজা। ক্রিকেটিয় যুক্তির পাশাপাশি থাকতে বৃষ্টির কাঁটা ।আজ ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। আকাশ মাঝে মাঝে মেঘলা থাকবে।।চোখ বুজে বলে দেওয়া যায় ফেভারিট ভারত। নিজদের খেলাটা খেলতে পারলে এই ম্যাচ থেকে দুটো পয়েন্ট আসা উচিত। তবে ফরম্যাটটার নাম টি-টোয়েন্টি ।একটা ওভার তো বটেই একটা বলও ঘুরিয়ে দিতে পারে ম্যাচ।
Discussion about this post