কেনসিংটন ওভালের উইকেট স্লো, বল পরে থমকে থমকে আসছিল। এখানে অতিরিক্ত স্ট্রোক খেলা মানেই হারিকিরি। যেমন ডুবেছিল রোহিত ১৩ বলে ৮ রান। এমনকি বিরাট কোহলিও ২৪ বলে ২৪ রান করে আউট হন। কিন্তু স্কাই অন্য ধাতুতে গড়া। নিউইয়র্কে ইউএসএ ম্যাচে সিমিং উইকেটে অপরাজিত হাফসেঞ্চুরির পরে বৃহস্পতিবার কেনসিংটন ওভালে সূর্য কুমার যাদবের ২৮ বলে ৫৩ ভারতকে প্রায় শেষ চারের সারনণিতে এনে ফেলল। কাল অ্যান্টিগায় ভারতের সামনে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ জিতলে শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত দ্রাবিঢ়দের। সেক্ষেত্রে আগামী সোমবার গ্রস আইলেটে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে হারলেও সেমিফাইনালে রাস্তা পরিষ্কার থাকবে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সূর্য নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বলে আগেই প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই দিন বুঝিয়ে দিল কেন ওকে এই শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা দেওয়াই যায়। পেসারদের তো সামলালোই তবে সূর্যের জিনিসের বৈশিষ্ট্য ছিল স্পিনের বিরুদ্ধে তার অগ্রাসন। সূর্য যেমন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রান মেশিন সেরকমই ২০ ওভারের খেলায় অন্যতম সেরা বোলারের নাম হল রশিদ খান। আফগান লেগ স্পিনারের বিরুদ্ধে অসাধারণ স্ট্রোক খেলার নমুনা দেখিয়ে গেল সূর্য। চাপের বাইরে ডানপা নিয়ে গিয়ে ৫০ গ্রাম থেকে সুইফট মেরেছে যা করে দেখাই যায় না। ৯০ রানে চার উইকেট থেকে সূর্য হার্দিক টিমকে টেনে দিয়েছিল ১৫০ পর্যন্ত।
৩৬০ ডিগ্রি ক্রিকেটার বলে কথা, ইনোভেটিভ স্ট্রোক যখন তোমার সূর্যের ব্যাটে সূর্য ওঠার মতোই স্বাভাবিক। এদিন বেশ ভালো খেলছিল বিরাট কিন্তু রশিদকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়ে গেল। তবে ওর ২৪ বলে ২৪ রানের মধ্যে কিন্তু ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত আছে ।রোহিত শর্মা এদিন একটা খারাপ শট খেলে ফিরে গেল। তারপর দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলো সূর্য এবং হার্দিক পান্ডিয়ার জুটি । দুজনে জুটিতে উঠল ৬০ রান। ভারতকে পৌঁছে দিয়ে গেল আট উইকেটে ১৮১ রানে ।হার্দিক ২৪ বলে ৩২ রান। আইপিএলে যে হার্দিককে দেখা গিয়েছিল তার সঙ্গে বিশ্বকাপের হার্দিকের অনেক পার্থক্য ।
এখন যেন অনেক খোলা মনে খেলতে পারছে চাপমুক্ত অবস্থায়। আইপিএলের সময় সেই ছবিটা দেখা যায়নি ।বিতর্কের মধ্যে মুম্বাই ইন্ডিয়াস এর অধিনায়কত্বের চাপটা হার্দিকের খেলায় ভীষণই প্রভাব ফেলেছিল। যশপ্রীত বুমরা প্রথম ওভারে দুই উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের ব্যাটিং এর শুরুতে ধাক্কা দিয়ে গেল। প্রথম স্পেলে ২ ওভারে পাঁচ রান দিয়ে ২উইকেট তুলে নিল ভারতীয় পেসার। শেষ পর্যন্ত ৭রান দিয়ে নিল তিন উইকেট। আর্শদীপ সিং পান ৩ উইকেট, কুলদীপ যাদব ২ উইকেট,রবীন্দ্র জাদেজা পান ১ উইকেট। সব বিশ্বকাপেই দারুণ শুরু করে ভারত ।গত ১০ বছর ধরেই করছে ।কিন্তু হোঁচট খেতে হয় নক আউটে সেমিফাইনাল বা ফাইনালে। এটাই নিজেদের ক্যারিয়ারের রোহিত বিরাটের শুধরে নেওয়ার শেষ সুযোগ। ১১ বছর আগে শেষবার কোন আইসিসি টুর্নামেন্ট জয়। নকআউটের বাধা থাকছে থাকবে কিন্তু ট্রফির হাতছানিও থাকছে
Discussion about this post