বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই স্ট্রাইকারের ম্যাচে নজর কেড়ে নিলেন এক গোলকিপার। মঙ্গলবার জার্মানির বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ঘরের মাঠ ইদুনা পার্কে ইউরো কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স এবং পোল্যান্ড। কিলিয়ান এমবাপে আর রবার্ট লেবানডস্কি, বিশ্বমানের দুই স্ট্রাইকার যত না নজর কারলেন তার থেকে অনেক বেশি হাততালি পেলেন পোল্যান্ডের গোলকিপার লুকাস স্কোরুপস্কি। ইতালির বেলাগোনা ক্লাবে খেলা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি এই পোলিশ গোলরক্ষক এই দিন ফ্রান্সের গোটা চারেক নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত পোল্যান্ডের আশা জিইয়ে রাখলেন। কিন্তু ম্যাচটা ১-১ হওয়ায় ছিটকে গেল লেবনডক্সির পোল্যান্ড।
অপরদিকে এদিন ড্র করে তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপের দু’নম্বর স্থান পেয়ে এমবাপের ফ্রান্স নকআউট জায়গা করে নিল। এই গ্রুপ থেকে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষস্থান পেল অস্ট্রিয়া। দু’বছর আগে কাতার বিশ্বকাপে যে টিমটা গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছিল সেই ফ্রান্স এবার ইউরো কাপ গোলের খরায় ভুগছে। গ্রুপ লিগের প্রথম দুটো ম্যাচে কোনও ফরাসি ফুটবলার গোল করতে পারেননি। অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে এক শূন্য গোলে জিতলেও গোলটা ছিল আত্মঘাতী ।পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচের ফল গোলশূন্য। পোলিশদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই একের পর আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন এমবাপে, বারকোলা, দেম্বেলেরা। ডাক্তারের বিরুদ্ধে
ম্যাচে নাকের হাড় ভেঙে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে খেলেননি এমবাপে । তার অভাবটাই পেয়েছিল টিম ।এদিন মাস্ক পরে খেলতে নামেন এমবাপে। নয়া চেহারার এমবাপের মধ্যে অবশ্য তার পুরনো ঝাঁঝ অব্যাহত। বাঁ দিকের উইং দিয়ে একের পর এক আক্রমন এনেছেন তিনি। গ্রিয়াজম্যানের বদলে শুরু করে বারকোলা। এমবাপের সঙ্গে তাঁর চমৎকার বোঝাপড়া দেখা যায় । দ্বিতীয়ার্দ্ধে এমবাপে পেনাল্টি থেকে গোল করে টিমকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। পরের পর্বে জিতে গেলে পোলিশদের এই ম্যাচটা জিততেই হত । চোটের জন্য আগের দুই ম্যাচ খেলেননি টিমের গোল মেশিন রবার্ট লেবানডস্কি। এই দিন বার্সেলোনার তারকা শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন মরিয়া মেজাজে।পেনাল্টি থেকে গোল করলেও তিনি টিমকে জয়ের মুখ দেখাতে পারলেন না ।ইউরো থেকে ছিটকে গেল পোল্যান্ড।
Discussion about this post