রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত বছরই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাকিবুর রহমান। গ্রেফতারির পরই জানা যায়, তিনি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। গ্রেফতারের পর বাকিবুরের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছিল, বাকিবুকের অন্তত ১০০ কোটির টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংসার চলছে বাকিবুরের। টাকার অভাবে সংসার চলছে না রেশন দুর্নীতির মামলার অভিযুক্তের। কারণ রেশন দুর্নীতির তদন্তের জন্য তাঁর সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। যার জেরে তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা তুলতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা। সে জন্য চেক সই করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন বাকিবুর।
বাকিবুরের আবেদনে সাড়া দিয়েছে আদালত। জেলবন্দি বাকিবুরের পরিবার যাতে সমস্যায় না পড়ে, সেজন্য জেলে গিয়ে তাঁর স্ত্রী এক জেল কর্মীর উপস্থিতিতে চেকে সই করাতে পারবেন, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শুক্রবার ইডির বিশেষ আদালতে ছিল রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বাকিবুরের মামলার শুনানি। সেখানে বাকিবুরের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। পাশাপাশি, তিনি আদালতে জানান, বাকিবুরের মিলে বহু কর্মচারী কাজ করেন। বাকিবুর চেকে সই করতে পারেননি বলে তাঁদের বেতন আটকে রয়েছে। এই বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাকিবুরের আইনজীবী। তিনি জানান, মিলের কর্মচারীদের বেতনের জন্য ১১টি চেক এবং ব্যাঙ্কের ফর্মে সই করানোর অনুমতি দেওয়া হোক বাকিবুরকে।
Discussion about this post