এখনই পুনর্বহাল নয়। বরখাস্ত রাখা হল কঙ্গনার চড় কাণ্ডে অভিযুক্ত সিআইএসএফ কনস্টেবল কুলবিন্দর কৌরকে। অভিনেত্রী-সাংসদ কঙ্গনা রানাওতকে চড় মারার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও চলছে বলে সিআইএসএফ সূত্রে খবর। যে কারণে তাঁকে এখনই কাজে ফেরানো হচ্ছে না। তবে পুনর্বহাল করা হলেও তাঁকে ট্রান্সফার করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে তাঁকে অন্য কোনও বিমানবন্দরের ডিউটিতে দেওয়া হতে পারে। এদিকে সাংসদও মেতে নিজের নতুন ইনিংস নিয়ে। বুধবারই শোনা গিয়েছে সিআইএসএফ জওয়ান কুলবিন্দরকে নাকি চণ্ডীগড় বিমানবন্দর থেকে বেঙ্গালুরুতে বদলি করে দেওয়া হয়েছে! আদৌ কি তাই? বেলা বাড়তেই সত্যিটা সামনে এল।
সংবাদ সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, “বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকে যে সিআইএসএফ জওয়ান চড় মেরেছিলেন, এখনও চাকরি থেকে বরখাস্তই রয়েছেন এবং বর্তমানে তাঁর উপর বিভাগীয় তদন্ত চলছে।” বেঙ্গালুরুতে কুলবিন্দর কৌরের বদলি হওয়ার জল্পনা সম্পূর্ণ ভুয়ো। চড় কাণ্ডের সপ্তাহ ঘুরতেই মুম্বই পুলিশের তরফে সিট গঠন করা হয়। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে চড় কাণ্ডের পর কুলবিন্দর কৌরের শাস্তি মেনে নিতে পারেননি পাঞ্জাবের কৃষকরা। সেই প্রেক্ষিতেই মোহালির সমযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবং কিষাণ মজদুর মোর্চার সদস্যরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এক মিছিল করেন। তারপরই এই তদন্ত টিম গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুম্বই পুলিশ।এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মান্ডির লোকসভা সাংসদ কঙ্গনা রানাউত গত ৫ জুন চণ্ডীগড় থেকে দিল্লি আসছিলেন। সেই সময়ে বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটে।
সিআইএসএফ কনস্টেবল কুলবিন্দর কৌর অভিযোগ করেছিলেন যে তিনি কৃষকদের বিষয়ে কঙ্গনা রানাউতের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ছিলেন। এই ঘটনার পর অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে জানান যে, ওই কনস্টেবল তাঁকে চড় মেরেছেন। তিনি পাঞ্জাবের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একটি বিতর্কিত বক্তব্যও জানান। যেটি রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি নিন্দা করেছিল।
Discussion about this post