রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। রাহুল দ্রাবিড়কে হেডকোচ নির্বাচিত করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। ক্যাপ্টেন বিরাটকে আবার ব্যাটসম্যান বিরাট বানানোর কৃতিত্বও সৌরভ গাঙ্গুলীর। আসল কথা সৌরভ গাঙ্গুলী না থাকলে এর দুর্ধর্ষ টিম ইন্ডিয়াকে আমরা দেখতেই পেতাম না। সৌরভ যখন বিরাট কোহলিকে ক্যাপ্টেন থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তখন সোশ্যাল মিডিয়াতে সৌরভের বিরুদ্ধে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সৌরভ একের পর এক যে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তার ফল এখন পাচ্ছে গোটা দেশ। টিম ইন্ডিয়াকে এতটা ভয়ংকর এর আগে কোন বিশ্বকাপে লাগেনি।
অথচ আজ থেকে আড়াই বছর আগে সৌরভকে নিয়ে কম ট্রলিং হয়নি। সৌরভ বিরাট কে ক্যাপ্টেন্সি থেকে থেকে সরিয়ে ছিল যাতে বিরাট চাপ মুক্তভাবে তুখোর পারফরম্যান্স দিতে পারে। ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার পর টেস্টে এবং ওয়ানডেতে বিরাটের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সৌরভের দূরদর্শীতাকেই প্রমাণ করে। রবি শাস্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ইন্ডিয়া ভালো খেললেও সেই একতা সেই ডিসিপ্লিনটা ছিল না। তাই এক ঝটকায় রবি শাস্ত্রী কে সরিয়ে ডিসিপ্লিন রাহুল দ্রাবিড়কে ভারতীয় দলের হেড কোচ নির্বাচন করেন তিনি। আগের টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপে সেমিফাইনালিস্ট, ওয়ানডে ক্রিকেটের ফাইনালিস্ট এবং অবশেষে ২০২৪ এ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন।
সৌরভ গাঙ্গুলী যখন রোহিত শর্মাকে ক্যাপ্টেন হতে চেয়েছিলেন ,তখন সবাই বলেছিল, আইপিএলের পারফরম্যান্স দেখে রোহিত কে ক্যাপ্টেন করা উচিত নয়। কারণ আইপিএল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এক নয়। কিন্তু আজ সেই রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে সারা দেশ প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আসলে সৌরভ গাঙ্গুলীর চোখ হলো জহুরীর চোখ। ক্যাপ্টেন থাকাকালীন তিনি যাদের কে নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন, সেই যুবরাজ জাহির খান, গৌতম গম্ভীর, ধোনি, হরভজনরা ভারতকে দুটো ওয়ার্ল্ড কাপ জিতিয়েছে। আজ ভারতের সবাই রাহুল দ্রাবিড় ,রোহিত শর্মা ,জয় শাহদের কৃতিত্ব দিচ্ছে। কিন্তু ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে সৌরভের দাদাগিরিও সমানভাবে প্রশংসা প্রাপ্য।
Discussion about this post