শপথগ্রহণ নিয়ে জট কাটল বিধানসভায়। শপথগ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবারও স্পিকারকে টপকে দায়িত্ব দেওয়া হল ডেপুটি স্পিকারকে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবারও স্পিকারকে টপকে ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেওয়া হল। তবে ধনখড়ের জায়গায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্য বিধানসভার উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত ২ সদস্যের শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা বাড়ছিল। রাজভবন ও বিধানসভার মধ্যে টানাপোড়েন চলছিলই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই জটিলতার অবসান হল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়ে দিলেন তাঁর পরিবর্তে সায়ন্তিকা ও রায়াত হোসেন সরকারকে শপথগ্রহণ করাবেন রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস ব্যানার্জি। স্পিকার উপস্থিত থাকতে ডেপুটি স্পিকার কেন? আপাত দৃষ্টিতে এই সমস্যা সমাধান হয়েছে বলে মনে হলেও প্রশ্ন উঠছে।
বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে কিছু তথ্য শেয়ার করেন রাজ্যপাল। সেখানে সংবিধান ধরে ধরে দেখানো হয়েছে, বিধায়কদের শপথগ্রহণে রাজভবন এবং বিধানসভার কী ভূমিকা। এরপরই রাজ্যপাল জানিয়ে দেন যে তিনি ডেপুটি স্পিকারকে শপথগ্রহণ করানোর দায়িত্ব দিচ্ছেন। ভোটের রেজাল্ট ও শপথগ্রহণ এই দুইয়ের মাঝে অনেক জলঘোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। পাল্টা মানহানি মামলা করেছেন রাজ্যপাল। মানহানি মামলার পরেও তৃণমূল নেতা নেত্রীরা বেফাঁস মন্তব্য করে চলেছেন। বৃহস্পতিবার মদন মিত্র এমন একটি বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। এরপরই প্রায় ধারাবাহিকভাবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কটু-কথা ও মন্তব্য শুরু হয় রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত বিধায়কদের শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতার মাঝে শুক্রবার বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের অধিবেশন খুবই স্পেশাল। বিমান জানিয়েছিলেন নিজেই। স্পিকারের মন্তব্য নিয়ে বেড়েছিল জল্পনা। রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়াও শপথগ্রহণ করানো যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। জানা গিয়েছিল রাজ্যপালের হাতে শপথগ্রহণের চাবিকাঠি থাকলেও বিশেষ অধিবেশন ডেকে উপ-নির্বাচনে জয়ীদের শপথগ্রহণ করানো যায়। তবে এমন পরিকল্পনা আদৌ হয়েছিল কিনা যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে বেলায় রাজ্যপাল ডেপুটি স্পিকারকে এই দায়িত্ব দিয়ে দেওয়ায় সেই জটিলতা কেটে যায়। রাজ্যপালের দেওয়া এই দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকার কি গ্রহণ করবেন? অতীতে দেখা গিয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে শপথগ্রহণের দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দেওয়া হলেও তিনি সেই দায়িত্বভার গ্রহণে রাজি ছিলেন না। এবারও সেই একই ঘটনা ঘটে কিনা সেটাই দেখার। নির্বাচিত হওয়া থেকে শপথগ্রহণের মাঝে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন আছে
ঠিক কি নিয়ম রয়েছে
নির্বাচিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক দফতর থেকে দুটি চিঠি যায়
বিধানসভা ও রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দুটি পাঠানো হয়
সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের পরিষদীয় দফতর রাজভবনকে চিঠি দেয়
জয়ীদের শপথগ্রহণের বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলা হয়
Discussion about this post