দেশের সাধারণ নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করলেন ইউকের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে বিরোধী লেবার পার্টি ৪০০ টিরও বেশি আসন জিতেছে, যেখানে সুনকের কনজারভেটিভ পার্টি লেবার পার্টিরঅর্ধেকেরও কম আসনে এগিয়ে রয়েছে ভিও- ‘আমি দু:খিত। এই পরাজয়ের দায়ভার আমি কাঁধে তুলে নিচ্ছি।‘ দেশের সাধারণ নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করলেন ইউকের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। সকাল থেকে ভোটের ফলাফলে অনেকটাই এগিয়ে ছিল লেবার পার্টি। এরই মাঝে দু:খ প্রকাশ করে পরাজয় স্বীকার করে নেন ঋষি। ‘লেবার পার্টি এই সাধারণ নির্বাচনে জয় লাভ করেছে। আমি স্যার কেয়ার স্টারমারকে তাঁর বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। যা সব দিক থেকেই ভালো। যা আমাদের দেশের স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের প্রতি আস্থা দেবে। বললেন ঋষি। ‘
ঋষি সুনক ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চালর্সের কাছে তাঁর ইস্তফা পত্রটি দেবেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর রাজা স্টারমারকে সংসদে বৃহত্তম দলের নেতা হিসেবে সরকার গঠন করতে বলবেন। ভিও- তবে সরকারে এসে কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টিকে একটি ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। দেশের স্থবির অর্থনীতি, জনসাধারণের পরিষেবাগুলিকে ক্রমাগত হ্রাস করে দেওয়া ও জীবনযাত্রার মান হ্রাস – এই সমস্ত বিষয়গুলির সম্মুখীন হতে হবে। কেয়ার স্টারমার ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। প্রায় 14 বছরের অশান্ত রক্ষণশীল সরকারের সমাপ্তি ঘটবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ব্রিটেনের করের বোঝা ক্রমশ বেড়েছে।
এদিকে স্যার কিয়ার স্টারমার একজন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ পাশাপাশি একজন ব্যারিস্টার। ২০২০ সালে তিনি লেবার পার্টিতে যোগদান করেন। খুব অল্প বয়সেই তিনি রাজনীতিতে যোগদান করে ছিলেন। লেবার পার্টিতে তাঁর যোগদান ছিল একজন যুব সমাজকর্মী হিসেবে। ভিও- এদিকে কনজারভেটিভ পার্টি হেরে গেলেও ঋষি সুনক তাঁর আসন দুটি ধরে রাখে। নর্থ ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড এবং নর্থঅ্যালার্টন আসন থেকে জিতে যান তিনি। এই নির্বাচনী ফলাফলকে খুবই দুঃখজনক বলে আখ্যা দেন ঋষি। ২০ মাস আগেই ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।২০২২ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে ব্রিটেনের গদিতে বসেছিলেন। তবে বিগত ২০ মাসে তাঁর কাজকর্মে ব্রিটিশ ভোটাররা সেভাবে সন্তুষ্ট নন বলেই উঠে এসেছিল বিভিন্ন সমীক্ষা এবং রিপোর্টে।
Discussion about this post