দিলীপ ঘোষ কি দল ছাড়বেন? তিনি কি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন? তাঁর নতুন বক্তব্য ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন, তিনি রাজনীতি ছাড়ার জন্য তৈরি। শুক্রবার দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, আমি এভাবে থাকতে পারব না। আমার জন্য নির্দিষ্ট কাজ না থাকলে রাজনীতিকে টাটা বাই বাই বলে দেব। তিনি আরও জানিয়েছেন, আমি অন্য কারও মতো প্রাক্তন পরিচয় নিয়ে কাজ করতে পারব না। যতক্ষণ দলে রয়েছি, ততক্ষণ কাজ করে গেলেও একটা সময় পরে তো সিদ্ধান্ত নিতে হয়। রাজনীতি ছাড়াও সমাজের অনেক কাজ রয়েছে। বছর কয়েক আগেও বঙ্গ বিজেপির শেষ কথা ছিলেন দিলীপ ঘোষ। বস্তুত বিজেপি নেতাদের অনেকেই মেনে নেন, রাজ্যে বিজেপির যেটুকু জমি তৈরি হয়েছে, তার নেপথ্যের অন্যতম কারিগর দিলীপ। তাঁর সভাপতিত্বেই বঙ্গে বিজেপি ১৮ জন সাংসদ পেয়েছিল। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। অথচ সেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে এই মুহূর্তে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সেভাবে যোগাযোগ নেই।
লোকসভায় হারের পর তাঁর গুরুত্ব যেন আরও কমেছে। লোকসভার ফলাফলের পর একবারই গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য দপ্তরে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও নতুন করে আর কোনও দায়িত্ব দেননি তাঁকে। নতুন কোনও দায়িত্ব নেওয়া নিয়ে কোনও আলোচনাও হয়নি। এই প্রসঙ্গে দিলীপ একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘‘আমি অন্য কারও মতো ‘প্রাক্তন’ পরিচয় নিয়ে কাজ করতে পারব না। যত ক্ষণ দলে রয়েছি, তত ক্ষণ কাজ করে গেলেও একটা সময়ের পরে তো সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। রাজনীতি ছাড়াও সমাজের অনেক কাজ রয়েছে।’’ কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত তিনি কবে ঘোষণা করবেন? দিলীপ বলেন, ‘‘আরও কিছু দিন অপেক্ষা করব। দলের পক্ষে কিছু জানানো হয় কি না, তার অপেক্ষায় রয়েছি। তবে কাজ করে যাচ্ছি। আজও আমার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
তবে অপেক্ষার তো একটা সীমা থাকে। যাঁদের বলা দরকার, তাঁদের বলে দিয়েছি। আমি এ ভাবে কাজ করতে পারব না। আমায় অন্য সংগঠনের দায়িত্ব দিলে সেখানে যেতে পারি। না হলে আমি নিজেই ঠিক করে নেব কোন ধরনের কাজ করা যায়। বসে থাকতে পারব না। সব কিছু ঘোষণা করে করতে হয় না। ভাল কাজ হলে আপনা থেকেই সবাই বুঝতে পারে। তবে এখন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে রদবদলের সম্ভাবনা। রাজ্যেও কিছু পরিবর্তন হতে পারে। সেটা দেখার পরেই সিদ্ধান্ত।’’
Discussion about this post