তৃণমূলের দুই বিধায়কের শপথ নেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত সপ্তম সুরে। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বিধানসভার স্পিকার দুই নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকাকে শপথ পাঠ করানো ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করেন তিনি। পরে টুইটে নিজেই সেকথা জানিয়েছেন বোস। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে এরপরের পদক্ষেপও জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। যা শুনে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিপ্পনি, “রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ায় আমি খুশি। আমি তো আগেই রাষ্ট্রপতিকে বিষয়টি জানিয়েছি!” বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “যা করেছি আইন মেনে করেছি। আমরা রাষ্ট্রপতিকে গোটা বিষয়টা আগেই জানিয়েছি।
রাজ্যপালের ক্ষমতা নেই অধ্যক্ষকে অপসারণ করার। উনি কী বললেন তা নিয়ে আমার মন্তব্য করার কোনও ইচ্ছা নেই।” অন্যদিকে, রাজ্যপালের নির্দেশ না মানা নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকটি নিয়মের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু বিধানসভার অধিবেশন চালু রয়েছে, তাই রাজ্যপালের চিঠি মান্যতা পেল না। রুলস অফ বিজনেসের ২ নম্বর অধ্যায়ের ৫ নম্বর ধারা মেনেই তিনি শপথবাক্য পাঠ করালেন নতুন বিধায়কদের। যদিও স্পিকারের সেই দাবি মানতে নারাজ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘এটি একটি অত্যন্ত সাধারণ জ্ঞান যে, সংবিধান সমস্ত নিয়মের উর্ধ্বে।’’ প্রসঙ্গত, দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন দুই নবনির্বাচিত বিধায়ককে ৷ রাজ্যপাল উপাধ্যক্ষকে দায়িত্ব দিলেও তা নিতে নারাজ ডেপুটি স্পিকার। অগত্যা স্পিকারই শুক্রবার শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন দুই বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যা নিয়েই শুরু হয়েছে নয়া সংঘাতের বাতাবরণ ৷
Discussion about this post