লোকসভা নির্বাচনে হুগলি আসনটি তৃণমূল কংগ্রেস জিতলেও এখানের অনেক জায়গা আছে যেখানে তৃণমূলের ভোট কমেছে। তার উপর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অনেকটা ক্ষতি হয়েছে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে। আর তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল বিধায়ক অসিত মজুমদারকে। একদিন আগেই সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে দলের কর্মী সমর্থককে সতর্ক করে দিয়ে গিয়েছেন। এই আবহে এবার মুখ খুললেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই বিধানসভা কেন্দ্রে কেন তৃণমূল কংগ্রেস পিছিয়ে? সপাটে জবাব দিয়েছেন এই লেখক বিধায়ক।
একদিকে বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। অন্যদিকে জেলার অন্যান্য নেতৃত্ব। দলের একাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এদিন মনোরঞ্জন ব্যাপারী স্পষ্টভাবে বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলেছিলেন আমি সক্রিয় হয়েছি। তার ফল সকলে দেখেছেন। এরপর লোকসভা ভোটের মুখে উনিই সরে থাকতে বলেছিলেন। তাই এর দায় দেব না আমি। কোনওদিন যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার সক্রিয় হতে বলেন, তখন হব।” অন্যদিকে নিজের পেনশন প্রসঙ্গে সরব হন বলাগরের বিধায়ক। চার বছর হতে চলল এখনো তিনি পেনশন পাচ্ছে না মনোরঞ্জন বেপারী। এখানেই প্রশ্ন রাজ্যের একজন বিধায়ক তার যদি পেনশন পেতে এত সময় লাগে তাহলে সাধারণ মানুষের কি হবে! বিধায়কের দাবি, ২০২১ সালে সরকারি চাকরি থেকে রিজাইন দেওয়ার পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গাতে গিয়ে পেনশনের জন্য দরখাস্ত করেন এমনকি মুখ্যমন্ত্রী ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী অনেকবার লিখিত আকারে জানিয়ে ও কোন কাজ হয়নি।
Discussion about this post