আকাশছোঁয়া সবজির দাম নিয়ে মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠক থেকে পুলিশ প্রশাসনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালোবাজারি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন মুনাফাখোরেদেরও। ১০ দিনের মধ্যে সবজির দাম কমানোর নির্দেশও দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর বুধবার সকাল হতেই কলকাতা থেকে জেলার বাজারগুলিতে দেখা গেল টাস্ক ফোর্স এবং রাজ্য পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের। খুচরো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। দাম জানতে চান। কথা বললেন ক্রেতাদের সঙ্গেও। কলকাতার কাঁকুড়গাছির ভিআইপি মার্কেট থেকে আসানসোল দুর্গাপুর-সহ একাধিক জেলার বাজারে দেখা মিলল প্রশাসনিক কর্তাদের। একদিনে দাম কমে যাবে না এটা ঠিকই। তবে প্রতিনিয়ত প্রত্যেক বাজারে হানা দিলে আসল ছবিটা ধরা পড়বে।
তাতেই দাম কমতে শুরু করবে। গৃহস্থরা বাজারে গিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য এবং কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের সদস্যরা কাঁকুড়গাছির ভিআইপি বাজার ঘুরে দেখেন। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে সমস্ত সবজির দাম খোঁজখবর করেন। থলে হাতে সাত সকালে বাজারে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। এটা থেকে রেহাই দিতেই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার বাজারগুলিতেও দেখা গেল টাস্ক ফোর্স এবং রাজ্য পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসারদের। খুচরো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে দাম জানতে চাইলেন।এদিন রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, “আমরা কলকাতার বিভিন্ন বাজারে ঘুরছি। কোথায় কত দামে কোন সবজি বিক্রি হচ্ছে তা জানছি। ব্যবসায়ীদের সতর্ক করছি৷ যাতে কেউ বাড়তি দামে সবজি বিক্রি না করে বা অতিরিক্ত মুনাফা না রাখে।
এরপর পাইকারি বাজার গিয়ে সবজির দর জানব। পাইকারি ও এমনি বাজারের দর তুলনা করে দাম নিয়ন্ত্রণে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার সেইগুলো নেব। আমরা ব্যবসায়ীদের ৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি দাম কমানোর জন্য। আসা করছি লাগাতার অভিযানের জেরে মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো ১০ দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আসবে বাজারদর। “যদিও ব্যবসায়ীদের কথায়,”বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে৷ তাই লাভের মুখ দেখতে বেশি দামেই সেগুলি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। কম দামে সবজি কিনলে কম দামেই বিক্রি করব। আমাদের তো করার কিছুই নেই ।”
Discussion about this post