কাতার বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পরেই স্পেনীয়রা তিকি- তাকা ওপর থেকে কিছুটা আস্হা হারাতে শুরু করেছিল। নতুন কোচ ফুয়েন্তেও উপলব্ধি করেছিলেন শুধু মাত্র তিকি তাকা খেলে সাফল্য পাওয়া কঠিন। খেলার ধরনের পরিবর্তন আনতেই হবে। স্পেন জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে জানিয়েছিলেন’ ডাইরেক্ট ফুটবল’ খেলবে অর্থাৎ ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ধ্বংস করে দিতে হবে বিপক্ষের পরিকল্পনা। সর্বক্ষণ চাপ সৃষ্টি করতে হবে প্রতিপক্ষের ওপরে।আবার বিপক্ষের আক্রমণের সময় পুরো দল নেমে আসবে ডিফেন্ডারদের সাহায্য করতে ।তারপরেই আবার দ্রুত প্রতি আক্রমণে উঠবে। আধুনিক ফুটবলের সাফল্য পাওয়ার জন্য যা যা শর্ত পালন করা প্রয়োজন এই স্পেন সেটাই করছে। এবং তা সম্ভব হয়েছে মূলত তিনজনের জন্য ইয়ামাল, নিকো এবং ওলমো।
মাত্র ১৬ বছর বয়সের ইয়ামালের। লিওনেল মেসি, আন্দ্রে ইনিয়েস্তা, জাভি হার্নান্দেজ এবং পিকের মতো ওর উত্থান ও লা মাসিয়া একাডেমী থেকে বছরের তরুণ তুর্কি নিকো ২১ বছরের তরুণ তুর্কি দুজনেই বিশ্বকাপ বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করতে প্রচন্ড ক্ষুধার্ত। দুজনেরই বলের উপর দুরন্ত নিয়ন্ত্রণ ।ভয়ঙ্কর গতিতে বিপক্ষের রক্ষণ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। ২৬ বছরের ওলমো অসাধারণ এর প্রতিভা। গোল করা এবং করা নয় সমানভাবে দক্ষ। যতক্ষণ মাঠে থাকে বিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করে যায়। ন মিনিটে ফ্রান্স প্রথম গোল করে এগিয়ে যায়। বামপ্রান্ত থেকে এমবাপের সেন্টারে অসাধারণ হেড করে গোল করেন কোলো মুয়ানি । এরপর ২১ মিনিটে স্পেনের হয়ে সমতা ফেরান লামাইন ইয়ামেল। ইউরো কাপের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হিসেবে রেকর্ড করলেন।
ইয়ামালের কোমরের দোলায় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন ফ্রান্সের আদ্রিয় রাবিয়ো। এরপরে বাঁ পায়ের অনবদ্য বাঁক খাওয়ানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেয় বিস্ময় বালক। এই গোলের পরেই ছন্দে ফেরে স্পেন। ঝড় তুলতে শুরু করে আক্রমণের। ২৫ মিনিটে ওর ওলমো ২-১ করল ।ফ্রান্সের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল নিয়ে ঢুকে গোলার মতো শট নিয়েছিল ।বল জুলস কুন্দের পায়ে লেগেকে জালে জড়িয়ে যায়। স্পেনের দুটি গোলই ইয়ামেল ওলমোরক্তিগত দক্ষতার ফসল। স্পেনের রক্ষণের প্রধান দুই স্তম্ভ দানি কর্বাহাল ও রবিন লে নর্মান নির্বাসনের কারণে ছিল না। ফ্রান্সের প্রথম একাদশে অলিভিয়ের জিহু , আতোয়ান আতোয়ান গ্রিজম্যান না থাকাটা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে ।দু বছর আগে কাতার বিশ্বকাপের রানার্স হয়েছিল ফ্রান্স । দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক গোলে সুযোগ তৈরিও করে ফ্রান্স । ৮৬ মিনিটে এমবাপে যেভাবে ক্রস বারের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে দিল তখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ফাইনালে উঠছে স্পেন ।এবার অপেক্ষা ইউরোপসেরা হওয়ার।
Discussion about this post