পূর্ব কলকাতায় একাধিক জলাভূমি বুজিয়ে বহুতল। বাড়ি, কারখানা এমনকি রিসোর্ট হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই সংক্রান্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে উঠলে, বিচারপতির প্রশ্নবাণের সম্মুখীন হতে হয় রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে।
শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, এতদিন ধরে কি করেছে প্রশাসন? কোনো আংশিক কাজ নয়, সামগ্রিক ভাবে কি করেছেন ডি এম?
তাতে রাজ্যের আইনজীবীর মত, গত বছর ডিসেম্বরে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, তিনতলা বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি নির্মাণ ভাঙ্গা হয়েছে। ৫২ টি জায়গায় ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ৫০০ র বেশি বেআইনি নির্মাণ রয়েছে সেখানে। পুরসভা ও জেলা প্রশাসন কাজ করছে।
বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন, ভাঙ্গা কি শুধু কাগজ কলমে হয়েছে? কবে ভাঙ্গা হয়েছে, কোথায় কোথায় ভাঙ্গা হয়েছে তার তথ্য কোথায়? ওই জলাভূমি আগের অবস্থায় ফেরাতে হবে। এতদিন ধরে কি করছে প্রশাসন? রিপোর্ট দিয়ে একই কথা দিনের পর দিন বলে চলেছেন। আমরা রেজাল্ট চাই। আর কতদিন এই সব বেআইনি নির্মাণ দাড়িয়ে থাকবে? ডি এম উদাসীন আচরণ করছেন, বলতে বাধ্য হচ্ছি।
মামলাকারী বলেন, কোর্ট প্রথম যে বিল্ডিং ভাঙতে বলেছিল, আজ পর্যন্ত সেটাতেই কোনো পদক্ষেপ করা হয়নি।
বিচারপতিঃ জেলা শাসক যদি এগিয়ে না আসেন তাহলে এই বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হবে না। মানছি, সেখানে অনেক বিক্ষোভ, ক্ষোভ হবে। কিন্তু ডি এম চেষ্টা না করলে কিছু হবে না। আপনারাই ৫০০ র বেশি বেআইনি চিহ্নিত করেছেন। অন্তত পাঁচ টা ভাঙার প্রমাণ দিন। ওই জলাভূমি আগের অবস্থায় ফেরাতেই হবে। গয়াংগচ্ছ মনোভাব আর বরদাস্ত করা যাচ্ছে না। এবার থেকে এই মামলার লাগাতার শুনানি করবো।
প্রসঙ্গত, বেআইনি নির্মাণ ভাঙ্গা বা সেসব চিহ্নিত করার কাজ চলছে ধীর গতিতে। ওয়েট ল্যান্ড অথরিটিকে ৩১ জুলাই কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। একইসঙ্গে বেআইনিনি নির্মাণের যাবতীয় নথি SESC ও WBSEDCL কে দিতে হবে। কোথায় কোথায় বেআইনি নির্মাণে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে সেসব খতিয়ে দেখবে ওই দুই সংস্থা। তারা রিপোর্ট দেবে তারপরে।
Discussion about this post