সবজির বাজারে গিয়ে হাতে ছেঁকা খেতে হচ্ছে আম জনতাকে৷ আলু,বেগুন, টোম্যাটো, রোজের রান্নার জন্য খুব সাধারণ আনাজও কার্যত তাঁদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। ৫০০ টাকার বাজার করলে অর্ধেক থলেও ভর্তি হচ্ছে না। কয়েক দিন আগেই বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নবান্নের সভা ঘড় থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে যেন বাজারদর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে৷ কিন্তু সেই বার্তায় কি কাজ হয়েছে?টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের দাবি, দাম আগের থেকে কমেছে। কিন্তু ক্রেতারা সে কথা বলছেন না। তাঁদের দাবি, টাস্ক ফোর্স বা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বাজার থেকে বেরিয়ে গেলেই বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে।
সোমবার নিউমার্কেটে শসা ৫০, লঙ্কা ৮০, চন্দ্রমুখী আলু ৪০ টাকা, জ্যোতি আলু ৩৫ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, রসুন ১৬০, আদা ১৩০, ঢেঁড়স ৮০, পটল ৩৫, ঝিঙা ৬৫, ক্যাপসিকাম ১০০, গাজর ৬০, বিট ৬০, বিনস ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, টোম্যাটো ৭০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কুমড়ো ৩০ টাকা, চিচিঙ্গে ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে বিভিন্ন বাজারগুলিতে অভিযান চালাচ্ছে টাস্ক ফোর্স৷ এদিনও নিউমার্কেটে দেখা মিলেছে টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিদের। তবুও বেশ কিছু সবজির দাম এখনও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। বিক্রেতারা বলছেন, বাইরে থেকে যে সবজিগুলো আসছে, মূলত সেগুলিরই দাম বেশি। যদিও গত এক সপ্তাহে দাম কমেছে অল্প কিছু। বাজার করতে আসা রসিক বাঙালি বলছেন, সবজির চেয়ে মাছ-মাংস খাওয়া তাঁদের পক্ষে বেশি সস্তার মনে হচ্ছে৷ পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীদের বক্তব্য কৃষকদের কাছ থেকেই তাদের দামে মাল কিনতে হচ্ছে, কারণ গরমে পচে যাচ্ছে জিনিস। জোগানও থাকছে কম।
Discussion about this post