সরকারি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ রোগী। কাঠগড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগী নিখোঁজের পর লাঠি হাতে বিক্ষোভ আদিবাসীদের। বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘটনা। টাইমের কড়াকড়ি রয়েছে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। নির্ধারিত সময়ের আগে কিংবা পরে হাসপাতালে ঢোকার উপায় নেই। নির্ধারিত টাইমের ফাঁসে অনেকসময় প্রয়োজনীয় মেডিসিন রোগীর কাছে পৌঁছে দিতেও বাধ সাধা হয়। অভিযোগ যেখানে নিয়মের কড়াকড়ি রয়েছে, নজরদারি রয়েছে সেই হাসপাতাল থেকে রাতদুপুরে গায়েব হয়ে গেল রোগী।
রোগীর পরিজনদের দাবি রাত ২ টো নাগাদ হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে গিয়েছেন রোগী। খবরের সূত্র প্রকাশ্যে না আনলেও এমনটাই দাবি করছেন তাঁরা। কোথায় ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী? ক্ষোভ আছড়ে পড়ল হাসপাতাল চত্বরে। প্রতিবাদে লাঠি হাতে বিক্ষোভ আদিবাসীদের। বালুরঘাট ব্লকের অমৃত খন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের এক মাইল গ্রামের বাসিন্দা সুনীল ওরাও চলতি মাসে গায়ে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রোগী নেই অথচ কোন খোঁজখবরই নেয়নি হাসপাতাল। জানাচ্ছেন রোগীর পরিজনরা। সুনীল ওরাওর বেডে দিব্যি চিকিৎসা চলছে অন্য রোগীর। এতটা গাফিলতি কি ভাবে? সরকারি হাসপাতাল। তার উপর বিপুল পরিমাণে রোগীর চাপ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথাতেই স্পষ্ট পর্যাপ্ত নজরদারির ব্যবস্থা ছিল না সেখানে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজার নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী। পরিবারের লোকেদের দাবি, সরকারি হাসপাতাল থেকে আট দিন ধরে নিখোঁজ থাকা রোগীকে অবিলম্বে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
Discussion about this post