আজ, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানি পিছিয়ে গেল আরও তিন সপ্তাহ। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, তারা এই মামলায় আগে পাঁচ পক্ষের বক্তব্য শুনবে। চার আইনজীবীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সব পক্ষের হলফনামা নিয়ে একটি সংক্ষিপ্তসার তৈরি করার। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এই সংক্ষিপ্তসার পাঁচ থেকে সাত পাতার মধ্যে করতে হবে, তার বেশি নয়। পরবর্তী শুনানি হতে পারে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, অন্তত ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। এর মধ্যে ২ সপ্তাহ পর সব পক্ষকে ফের পালটা হলফনামা জমা দিতে হবে।
সর্বোচ্চ আদালতের তরফে নোডাল অ্যাডভোকেট বেছে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দুসপ্তাহের মধ্যে সেই কাজ করবেন। এদিন সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুরু হয় চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার ২৫৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ৭ মে এই তার উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্তেও। মঙ্গলবার রাজ্যের তরফে হাজির ছিলেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্য সরকার এসএসসি মামলায় শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিতে চায়। অন্যদিকে এসএসসিও হলফনামা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে আর্জি জানায়।
আজ শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য আলাদা আলাদা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজ্য সরকার, এসএসসি, রিট পিটিশনার অর্থাৎ আবেদনকারী, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, সেই পক্ষ। এছাড়া যাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তাঁদের বক্তব্য, সিবিআইয়ের বক্তব্য এবং যাঁদের নথি যাচাই হয়নি, তাঁদেরও মতামত শোনা হবে। এই সব পক্ষের বক্তব্য জানানোর জন্য সর্বোচ্চ আদালতের তরফে ‘নোডাল অ্যাডভোকেট’ ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই দুসপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য নথিভুক্ত করে পেশ করবে সর্বোচ্চ আদালতে। তিন সপ্তাহ পর, মঙ্গলবার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।
Discussion about this post