কুলতলীর ঘটনায় গ্রেফতার সাদ্দামের শাগরেদ আফতাব সর্দার। সাদ্দাম সর্দার একজন নকল সোনা কারবারি। অভিযোগ জাল নোটের ও ব্যবসা ছিল তার ছিনতাই, মারধর, নকল সোনা বিক্রি একাধিক অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। কুলতলির পয়তরহাট গ্রামে বসেই নকল সোনার কারবার চালাচ্ছিলেন সাদ্দাম সর্দার। সোমবার সেই গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। অভিযোগ সাদ্দামকে গ্রেফতার করতে গিয়ে সাদ্দাম অনুগামীদের হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। বারুইপুর জেলা পুলিশ কর্মী ও কর্তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় সাদ্দাম অনুরাগীরা। SI এর মাথায় পিস্তল ধরে সাদ্দামের ভাই । পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুলিশ কিছুটা পিছু হটতেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় সাদ্দাম। এরপর এই ঘটনায় দুই মহিলাকে আটক করে পুলিশ। তাদের জেরা করেই মঙ্গলবার ফের সাদ্দামের ঠিকানায় পৌঁছে যায় প্রশাসন। নির্ধারিত একটি ঘরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগছ সকলের। খাটের তলায় রয়েছে সুড়ঙ্গ। খাল পথে যার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মাতলা নদীর। সুড়ঙ্গটি আয়তনে প্রায় 40 ফুট লম্বা। সুড়ঙ্গের শেষে একটি টিনের ছোট্ট নৌকও বাঁধা রয়েছে। এদিন সাদ্দামের ডেরায় পৌঁছে আফতাব সর্দার নামে এক শাগরেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে সাদ্দামের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল মোট চার জন। এদেরকে একে একে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুরু হয়েছে ধরপাকড়। দীর্ঘ 15 বছর ধরে তিলে তিলে এই কারবার গড়ে তুলেছে সাদ্দাম। তবু কেন প্রশাসনের নজরে এল না? প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। সাদ্দামের এক শাগরেদ গ্রেফতার হতেই বিষয়টিতে আরও স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাতে রাজ্যের কোন নেতা মন্ত্রী রয়েছেন কিনা কি ভাবে লুটের মাল পাচার হত? কাদের মুনাফা হত। এই সব প্রশ্নের উত্তর মেলাটা অনেক সহজতর হবে বলেই অনুমান।
Discussion about this post