২১ জুলাই বৃষ্টিতে ভাসবে শহরতলি।আজ রাজ্য জুড়ে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সমস্ত জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
দক্ষিণ ওড়িশার নিম্নচাপটি ক্রমশ সরে ছত্রিশগড় ও বিদর্ভ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী অক্ষরেখা বাংলা থেকে আরো দূরে সরে গেছে। মৌসুমী অক্ষরেখা গোপালপুরের ওপর দিয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ১৯ জুলাই শুক্রবার নিম্নচাপ তৈরি হবে বঙ্গোপসাগরে। নিম্নচাপ তৈরি হবে উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়। মূলত এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা সংলগ্ন উপকূলে অবস্থান করবে।
বুধবার মেদিনীপুর, হাওড়া হুগলি ও কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামীকালও আবহাওয়া প্রায় একইরকম থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টাতে উত্তরের দুই জেলা জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি জেলাতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। তবে আজ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা অনেকটাই কমবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। আজ থেকে শুক্রবার পার্বত্য জেলা গুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও উত্তরবঙ্গে।
শনিবার থেকে ফের বৃষ্টি বাড়বে। উত্তরের সমস্ত জেলায় সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি পূর্বাভাস রয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আজ দক্ষিনেও রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।
দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২৪ ঘন্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আজকের পর বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও কলকাতাতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ফের ১৯ জুলাই থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সপ্তাহান্তে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতে।
শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ভারী বৃষ্টি। শনিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
এদিন ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য দুই জেলা, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে।
২১ জুলাই রবিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতকাল রাতের তাপমাত্রা ২৮.৪ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছেছিল । গতকাল দিনের তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৩২.১ ডিগ্রির ঘরে । তাপমাত্রায় আপাতত তেমন কোনও উত্থান পতন নেই। আবহাওয়া কিছুটা স্থিতিশীলই থাকবে। তবে বাতাসে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্প থাকার জন্য আদ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়তেই থাকবে। বাতাসে এই জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বনিম্ন ৭৭ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ।
Discussion about this post