শেষ পর্যন্ত ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ হল কিলিয়ান এমবাপের। সরকারিভাবে সান্তিয়াগো বের্নাবাউতে ৮৫ হাজার দর্শকের সামনে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি পড়ে ফ্রান্সের তারকাকে হাজির করালেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেস। ২০১৭ সালে মোনাকোর হয়ে আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলের ক্যারিয়ার শুরু করেন এমবাপে। সেই থেকে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি তার ভালোবাসার সামনে আসে। তবে মোনাকো থেকে তিনি যোগ দেন পিএসজিতে। তার যোগ দেওয়া হয়নি স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালে। সেই থেকে প্রতিটা মরশুমের পরেই এমবাপের রিয়ালে যোগ দেওয়ার খবর ভেসে আসে। এবারও সেটাই হয়েছিল, তবে এবার তা সত্যি হয়েছে।
এমবাপের নাম ধরে চিৎকার করা সমর্থকের দিকে হাত নাড়তে-নড়তে ক্লাব প্রেসিডেন্ট ও ফ্রান্সের কিংবদন্তি জিনেদিন জিদানকে জড়িয়ে ধরলেন কিলিয়ান এমবাপে। জানা যায়, যখন এমবাপের বয়স ছিল ১৩ বছর, তখন থেকেই জিদানের চোখ চিনে ফেলেছিল ভবিষ্যতের এই তারকাকে। স্প্যানিশ ভাষায় এমবাপে বলে ওঠেন ,”অসাধারন একটা দিন আমার জন্য। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল মাদ্রিদের হয়ে একদিন খেলব আর আজ আমি এখানে ।এই দিনটার গুরুত্ব অপরিসীম। এমবাপের বাবা-মা, ক্লাবের কর্তারা ছাড়াও অনেক প্রাক্তন খেলোয়ার সাক্ষী থাকলেন এই মুহূর্তের ।”আমার মার চোখে আনন্দাশ্রু দেখতে পাচ্ছি। ফ্লোরেন্তিনো পেরেস কে ধন্যবাদ ” বলেন এমবাপে। জবাবে ক্লাব প্রেসিডেন্ট বলেছেন ,”আজ আমরা দুরন্ত এক ফুটবলারকে স্বাগত জানাচ্ছি ।যার ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ হল।
এই জায়গায় তুমি আজ দাঁড়িয়ে আছো, কাল তুমি এটাই চেয়েছিলে। এই জার্সি পরতে এত পরিশ্রম করার জন্য ধন্যবাদ জানাই”। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কিলিয়ান এমবাপে প্রথমবার তাঁর সতীর্থদের জানান তিনি আর পিএসসির সঙ্গে তার চুক্তি বাড়াচ্ছেন না ।রিয়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ,,”রিয়াল মাদ্রিদ ও এমবাপে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যেটা অনুযায়ী উনি আগামী পাঁচটা মরসুম রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলবেন”। পাঁচ বছরের জন্য তিনি সই করার অর্থ হল তিনি ২০২৮-২৯ মরসুম পর্যন্ত রিয়ালের জার্সিতে খেলবেন। এমবাপ একটি পোস্ট লেখেন, “একটা স্বপ্ন সত্যি হল, খুব খুশি এবং গর্বিত আমার স্বপ্নে ক্লাবের যোগ দিতে পেরে ।কেউ বুঝতে পারবে না আমি এখন কতটা খুশি ।মাদ্রিস্তাস তোমাদের দেখতে অপেক্ষা করতে পারছি না এবং দারুন সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ ।হালা মাদ্রিদ!’। মনে করা হচ্ছে পাঁচ বছরের চুক্তিতে রিয়ালের সই করলেন এমবাপে। চুক্তির পরিমাণ ১৫০ মিলিয়ন ইউরো ,প্রায় ১৩৬৫ কোটি টাকা। এছাড়া প্রতি মরসুমে নিয়ে অতিরিক্ত ১৬ কোটি টাকা পাবেন।
Discussion about this post