অশ্বিন ভারতীয় দলে তার কোন বন্ধু নেই বলে জানালেও মহম্মদ শামি জানিয়েছেন যে তার দু-দুজন প্রিয় বন্ধু আছে যারা তার অস্ত্র পচারের পর থেকেই তাকে ফোন করে তার সুস্থতার খবর নেন। সেই দু-জনের এক জন হলেন বিরাট কোহলি। বিরাটকে প্রিয় বন্ধু বলেও তার ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলানোর পর হঠাৎ করে বসিয়ে দেওয়া নিয়ে বিষ্ময়কর প্রশ্ন আজও মাথার মধ্যে ঘুরে ঘুরে আসে। হ্যাঁ-বিরাট কোহলিকে প্রিয় বন্ধু বলেন মহম্মদ শামি। কিন্তু পাঁচ বছর আগে সেই বন্ধুর নেওয়া সিদ্ধান্ত তাকে অবাক করেছে। মোটেই পছন্দ হয়নি বাংলার পেসারের আর ঘটনাটি কোন খেলোয়াড়ের জন্য মোটেই সুখকর নয়। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে প্রথম চারটি ম্যাচ খেলানোর পর বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল শামিকে।এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে হেরে যায় ভারত। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮ রানে হেরেছিল কোহলি ব্রিগেড। সেই ম্যাচে খেলানো হয়নি শামিকে। বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে ১৪টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তার পরেও কোন রহস্যে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল শামিকে। আর এখনও সেই রহস্য সমাধান করতে পারছেন না তিনি,তার কারণ এখনও বুঝতে পারছেন না বিশ্বত্রাস বোলার। ইউটিউবে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামি বলেন, “প্রতিটা দলে এমন ক্রিকেটার প্রয়োজন যে ম্যাচ জেতাতে পারে। সে বার আমি প্রথম তিন ম্যাচে ১৩টা উইকেট নিয়েছিলাম। এর বেশি আর কী করতে পারতাম?”
সেই বিশ্বকাপে অধিনায়ক ছিলেন বিরাট। ভারতের কোচ ছিলেন রবি শাস্ত্রী। শামি প্রশ্ন তুলেছেন তাঁদের নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে। একরাশ বিরক্তি নিয়ে শামি বলেন, “আমার এখন না আছে কোনও প্রশ্ন, না আমার কোনও উত্তর চাই। সুযোগ পেলে শুধু নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, আমি তিন ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছিলাম। তার পর নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে যাই। চার ম্যাচে ১৪টা উইকেট নিয়েছিলাম। ২০২৩ সালে সাত ম্যাচে নিয়েছিলাম ২৪ উইকেট।” প্রথম ম্যাচ থেকে শামিকে খেলালে উইকেট সংখ্যা আরো বাড়ত। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে শামিকে প্রথম থেকে খেলানো হচ্ছিল না। চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। পরের ম্যাচ থেকে জায়গা হয় শামির। তিনি আসতেই ভারতীয় দলের শক্তি বৃদ্ধি হয়। বোলিং আক্রমণে ভারত অনেক বেশী শক্তিশালী হয়ে ওঠে । সব দলের ব্যাটারেরাই সমস্যায় পড়েন শামিকে খেলতে গিয়ে। যদিও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের বিরুদ্ধে সাফল্য পায়নি ভারতীয় কোন বলারই। এখন দেখার দুই বন্ধু আবার কখন এক সঙ্গে মাঠে মুখোমুখি হতে পারেন।
Discussion about this post