অবশেষে পুলিশের জালে সোনারপুরের জমি মাফিয়া জামালউদ্দিন সর্দার। শুক্রবার রাতে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ও নরেন্দ্রপুর থানার বর্ডার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারকে। আজ তাকে আদালতে তোলা হল। শনিবার দুপুর পৌনে বারোটা নাগাদ সোনারপুর থানা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর মহকুমা আদালতে। পুলিশি ঘেরাটোপে থানা থেকে বেরিয়ে জামালের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। এদিন থানা থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় জামাল জানান যারা তার বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছেন তিনি। যারা এই অভিযোগ করেছেন তারা সকলেই সরকারি জমি দখল করে বসে আছেন। সমীর নস্কর নামে এক ব্যক্তি চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ জামালের।
এদিন সোনারপুর থানার পুলিশ ১৪ দিনের জেল হেফাজত চেয়ে তাকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তুলছে। গত মঙ্গলবার গ্রেফতারির আশঙ্কায় ভর দুপুরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল জামাল৷ তারপর সন্ধের দিকে পাঁচিল টপকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল জামালের স্ত্রী ও ছেলেও৷ ওইদিন ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকায় শ্বশুরবাড়ির কাছে কোথাও থাকার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু পুলিশ ঘোরাঘুরি করছে জানতে পেরে জঙ্গলের মধ্যে রাত কাটায় জামাল ৷ বুধবার ভোরে আলো ফুটতেই মাস্ক দিয়ে মুখে ডেকে ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে সোনারপুরের হয়ে বিধাননগর যায় জামাল। এরপর বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় এক পরিচিতের বাড়ি যায়। বুধবারটা সেখানেই কাটায়। সূত্রের খবর, জামালের আইনজীবীই তাকে আত্মসমর্পণ করতে বারণ করায় সে গা ঢাকা দেয়। এরইমধ্যে নিজের ফোন পরিবর্তন করে নতুন সিম নেয় জামাল। একাধিক ফোন পাল্টায়। পুলিশ সূত্রের খবর, ছ’মাসের জন্য গা ঢাকা দেওয়ার ছক কষেছিল জামাল। তবে মুখে মাস্ক পরে,ফোনের সিম বদলেও শেষরক্ষা হল না।
Discussion about this post