তৃতীয় এনডিএ সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বাজেট পেশের প্রথমেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান জানান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশের চার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ এবং বিহারের উন্নয়নে রয়েছে বিশেষ নজর। ছোট সংস্থাগুলির কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে ভর্তুকি দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাঁরা প্রথম চাকরিতে ঢুকছেন, তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে এক মাসের বেতন দেওয়া হবে। তিনটি কিস্তিতে এই টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমবার ইপিএফও-তে নাম নথিভুক্ত হলেই, তিন বারের কিস্তিতে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে। বেতন ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলেই এই সুবিধা মিলবে। এতে দেশের ২ কোটি ১০ লক্ষ যুবক যুবতী উপকৃত হবে বলে দাবি নির্মলার।
এছাড়াও পাঁচ রাজ্যে কিসান ক্রেডিট কার্ড চালু করার কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক নানা ডামাডোলের মধ্যেও ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার স্থিতিশীল। কৃষিতে উৎপাদন হার বৃদ্ধি করতে গবেষণার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।এদিন কৃষকদের জন্য কী কী করেছেন, তার খতিয়ান তুলে ধরলেন নির্মলা।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আরও তিন কোটি বাড়ির প্রতিশ্রুতি অর্থমন্ত্রীর।
কৃষি খাতে বরাদ্দ করা হচ্ছে ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা।
স্ট্যাম্প ডিউটি কমিয়ে মহিলাদের সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে কেন্দ্র।
বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকরিতে আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবক-যুবতীতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া হবে।
ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে বিশেষ জোর। করা হবে ঋণের ব্যবস্থা।
বিহারের বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পের জন্য ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।
বিশেষ আর্থিক সহায়তা অন্ধ্রপ্রদেশকে। চলতি অর্থবর্ষে অতিরিক্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা পাবে অন্ধ্রপ্রদেশ।
গ্রামোন্নয়নের জন্য ২.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে।
বন্যা রুখতে অসম, হিমাচল প্রদেশ উত্তরাখণ্ড এবং সিকিমকে বিশেষ সাহায্য।
ভারতকে বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে শীর্ষে তুলে ধরার কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী।
পর্যটন সংক্রান্ত অধিকাংশ প্রকল্পই যেতে চলেছে বিহারে। নতুন করে সাজানো হবে বুদ্ধগয়া, রাজগির এবং নালন্দাকে।
পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর কেন্দ্রের। চলতি অর্থবর্ষে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য খরচ করা হবে ১১.১১ লক্ষ কোটি টাকা। এই টাকা ভারতের জিডিপি-র ৩.৪ শতাংশ। পরিকাঠামো উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগেও উৎসাহ দেওয়ার কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী।
বিদেশি বিনিয়োগ আনতে সহজ হবে নিয়ম।
চলতি অর্থবর্ষে সম্ভাব্য রাজকোষ ঘাটতি হতে পারে ৪.৯ শতাংশ।
Discussion about this post