তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন খোদ নিজেই। জল্পনা ছড়িয়েছিলেন, ‘দিদি চেয়েছেন, তাই শোভন ফিরছেন।’ কিন্তু শেষপর্যন্ত আর ফেরা হল কই! একুশের মঞ্চে তৃণমূলের শোভন প্রত্যাবর্তন দেখা তো দূরের কথা, তাঁর দেখাই মিলল না। পরিবর্তে দলের সেনাপতির মুখ থেকে শোনা গেল ‘তৃণমূলে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে বা দমবন্ধ লাগছে বলে যারা দল ছেড়ে গেছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ দলে ফিরে এসেছেন। ২০২১ সালের ২১ জুলাই আমি বলেছিলাম, ৩ বছর এদের তৃণমূলের কোনও কর্মীর ওপর ছড়ি ঘোরাতে দেব না। তিন বছরে তাঁরা তা করতে পারেনি।’ এই দল ছেড়ে যাওয়ার নামের তালিকায় ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। শোভনের ‘ওয়াপসির ‘ আশাতে একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বালতি বালতি জল ঢেলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
যদিও শোভনের দলে ফেরা নিয়ে কিছু ভাবা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। অন্যদিকে, তৃণমূলে তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন শোভন। তাঁর বক্তব্য ছিল, “২১ জুলাই আমার কাছে যতটা যন্ত্রণার, ততটাই আবেগের। রাজনীতির যেদিকেই অবস্থান করি না কেন, ওই দিন মন ভারাক্রান্ত থাকে। পরিবেশ, পরিস্থিতি হলে এবার নিশ্চয়ই পৌঁছে যাব।” শোভনের এই মন্তব্যই তার দলের ফেরার জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে কেন প্রাক্তন মেয়রকে দেখা গেল না একুশের মঞ্চে? প্রশ্নের উত্তরে এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যাব কোথায়? মঞ্চে তো? আমি তো মঞ্চের লোক নই! স্বাভাবেই ২১ জুলাই আমাদের কাছে একটা আবেগ।’ অন্যদিকে শোভনের বাড়িতে কুণাল ঘোষের যাওয়ার পরই তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। এবার সেই কুণাল ঘোষই কিছুটা পাল্টি খেয়ে বলেন, ‘আমার যাওয়ার সঙ্গে শোভনদা এবং বৈশাখীর মঞ্চে আসার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি ব্যক্তিগত সৌজন্য, আলাপ, আমন্ত্রণ, বৈশাখীর মায়ের পরলৌকিক কাজ আমি তো বার বার বলে এসেছি যে আমি যাচ্ছি। কিন্তু আমি কারও দূত হয়ে যাচ্ছি না।’
Discussion about this post