প্যারিস অলিম্পিক শুরু হতে হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন বাকি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়েরা পৌঁছতে শুরু করেছেন অলিম্পিক্স ভিলেজে। আর তার মাঝেই প্যারিস অলিম্পিক শুরুর তিনদিন আগেই কোভিড থাবা বসালো গেমস ভিলেজে।
বিভিন্ন দেশ থেকে আগত খেলোয়াড়দের মধ্যে দু’জন অস্ট্রেলিয়া থেকে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পৌঁছেছেন ফ্রান্সে। অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ ওয়াটার পোলো দলের দুই সদস্য জ্বর নিয়ে প্যারিসের বিমানে উঠেছিলেন ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে। তাঁদের উপসর্গ দেখে চিকিৎসকরা কোভিড পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এরপর অসুস্থ খেলোয়াড়দের নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান আনা মেয়ার্স তাঁদের শিবিরে কোভিড সংক্রমণের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তিনি এও বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া দলের দু’জন ওয়াটার পোলো খেলোয়াড় অসুস্থ। সোমবার রাতে তাঁদের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তাদের আলাদা রাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এবং তারা দুজন বাদে দলের বাকিদের আপাতত কোনও সমস্যা নেই। তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই এই সংক্রমণ নিয়ে।
তিনি জানিয়েছেন , সাবধানতা হিসাবে দলের বাকিদের মাস্ক ব্যবহার করা এবং তাঁদের সঙ্গে বাকিদের দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোভিড মহামারির জন্য ২০২০ সালে অলিম্পিক্স আয়োজন করতে পারেনি জাপান। এক বছর পর ২০২১ সালে হয়েছিল টোকিয়ো অলিম্পিক্স। এ বারও প্যারিস অলিম্পিক্স শুরুর তিন দিন আগেও কোভিডের হানা গেমস ভিলেজে।
তবে পরিস্থিতি টোকিয়োর মতো নয়। কোভিড এখন অন্যান্য ফ্লুয়ের মতোই সাধারণ হয়ে গিয়েছে। তাই আতঙ্কের বিষয় নয় এটি। দুদিন পর থেকেই আক্রান্তরা দলের অনুশীলনে যোগ দেবে। আপাতত দুটো দিন ওদের আলাদা ঘরে নিভৃতবাসে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, দলের চিকিৎসকই অসুস্থ দুই খেলোয়াড়ের চিকিৎসা ও দেখভাল করছেন।
অলিম্পিক্স ভিলেজে কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পরতেই সতর্ক ফ্রান্সের স্বাস্থ্য দফতরও। সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্রেডেরিক ভ্যালেটক্স বলেছেন, ‘‘ফ্রান্সে কোভিড আছে। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। অসুস্থের সংখ্যা খুব কম। আমরা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন।”
অস্ট্রেলিয়ার দুই খেলোয়াড়ের কোভিড সংক্রমণ নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা নেই অন্যান্য দেশের খেলোয়াড় বা কোচদেরও। সকলেই স্বাভাবিক রয়েছেন। অলিম্পিক্স ২০২৪ শুরুর দিন গুনতে শুরু করেছে দেশ বিদেশের কোচ ও খেলোয়াড়েরা।
Discussion about this post