রাজ্যের দায়ের করা মামলায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের। রাজ্যের পাঠানো বিলে সই করছেন না রাজ্যপাল। একাধিক বিল জমে রাজ্যপালের কাছে। এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য।
রাজ্যপাল নয়। রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। গত কয়েক বছর আগে রাজ্যের মন্ত্রীসভায় পাশ হয়ে যায় সেই প্রস্তাবও। তখন বাংলার রাজ্যপালের কুর্সিতে ছিলেন জগদীপ ধনখড়। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর বিলটি চলে যায় রাজ্যপালের কাছে। সূত্রের খবর সেই থেকে রাজভবনেই পড়ে রয়েছে বিলটি। শুধু এই বিলই নয়, রাজভবনে অনেক বিলই আটকে রয়েছে। অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এবার সেই মামলায় রাজভবনকে নোটিশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মূলত বিধানসভায় কোন বিল পাশ হওয়ার পর রাজ্যপালের কাছে সেই বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্যপালের সম্মতি ও সইতে বিলটি আইনে পরিণত হয়। অর্থাৎ কোন বিলকে আইনে পরিণত করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের মতোই ব্যবস্থা। শুধু রাজ্যপালের জায়গায় থাকেন রাষ্ট্রপতি।
যে কোন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হলেন সেই রাজ্যের রাজ্যপাল। সংবিধান অনুসারে তাঁর রক্ষাকবচও রয়েছে। তাই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠলে সহজে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন রাজভবনেরই এক মহিলা কর্মী। কোন ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে পারেনি রাজ্যের পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ, রাজভবনের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের মতো কিছু ব্যবস্থা নিয়ে থামতে হয়েছিল উর্দিধারীদের। এই ক্ষেত্রেও সরাসরি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা করেনি রাজ্য। মামলাটি করা হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সচিবের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। যদিও মৌখিক ভাবে রাজ্যপালকেই নোটিস দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
জানা যায় কোন বিল নিয়ে রাজ্যপাল নিজে সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন অথবা বিলটি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে বিধানসভায় ফেরৎ পাঠাতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনটাই করা হয়নি। এ ভাবে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল দীর্ঘ দিন রাজভবন ফেলে রাখতে পারে না বলে শীর্ষ আদালতের কক্ষে দাবি করেন রাজ্যের আইনজীবী। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, তাঁরা রাজভবন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে এ বিষয়ে নোটিস জারি করতে চলেছেন।
Discussion about this post