তাজপুরের হকার উচ্ছেদ করতে গেলে ফরেস্ট অফিসার কে হুমকি মন্ত্রী অখিল গিরির। অভিযোগ তাজপুরে সমুদ্র সৈকতের ধারে অবৈধভাবে গড়ে উঠছে দোকান ঘর। বন দফতরের জমি থেকে হকার উচ্ছেদে করতে গিয়ে মন্ত্রীর বাধার মুখে ফরেস্ট অফিসার। ঠিক এই ভাবেই নিজের কর্তব্য পালন করতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির হুমকির মুখে পড়লেন মহিলা ফরেস্ট অফিসার। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন মন্ত্রী অখিল। কখনও হুমকি, কখনও আঙুল তুলে শাসানি। শেষমেষ ফরেস্ট অফিসারের বিরুদ্ধে নিজের বক্তব্য শেষ করলেন অশালীন কিছু শব্দ ব্যবহার করে। মন্ত্রীকে এমনও বলতে শোনা গেল পুনরায় হকার উচ্ছেদের চেষ্টা করলে ফরেস্ট অফিসার আর ফিরে যেতে পারবেন না।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সৌন্দর্যায়নের কথা বলে যত্রতত্র এলাকা থেকে হকার উচ্ছেদের কথা বলছেন, সেখানে তাঁরই মন্ত্রীসভার এক মন্ত্রী হকার উচ্ছেদের বিপক্ষে গিয়ে মহিলা ফরেস্ট অফিসারের বিরুদ্ধে এমন বেফাঁস মন্তব্য করছেন। রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি রামনগরের বিধায়ক। এই প্রথম নয়, আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে তিনি সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে উঠে এসে ছিলেন। স্বয়ং রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে তাঁর কুরুচিকর মন্তব্য দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছিল। এরপর মন্ত্রীর স্বভাবে যে বদল আসেনি এদিনের তাঁর উক্তি থেকে পরিষ্কার। ফরেস্ট অফিসার মৌমিতা সাউ এর সঙ্গে তর্কে জড়ানোর পর বন দফতরের এক কর্তার সঙ্গেও কথা বলেন মন্ত্রী। সেখানেও জারি ছিল তাঁর হম্বিতম্বি ভাব।
দিঘার পাশাপাশি তাজপুর এখন ভ্রমণপিপাসু বাঙালির নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে। প্রতিবছর বহু মানুষ সেখানে বেড়াতে যায়। দিনে দিনে দোকান ঘরও বাড়ছে এলাকায়। সমুদ্র সৈকতে ধরে বেশ কিছুদিন আগে কয়েকটি অস্থায়ী দোকান ঘর গজিয়ে ওঠে। সেগুলি জলের তোড়ে ভেসে যায়। অভিযোগ পুনরায় বন দফতরের জায়গায় নতুন করে দোকান ঘর গড়ে ওঠে। বন দফতর থেকে বাধা দিতে এলেই মন্ত্রী হাজির হন সেখানে। মহিলা ফরেস্ট অফিসারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ এরপর মন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অবৈধ নির্মাণ করান।
Discussion about this post