সূর্যের হাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ তে জেতার পর, একদিনের প্রথম ম্যাচে রোহিতের হাত ধরে থামল ভারতের বিজয় রথ, যদিও রোহিতের দলকে প্রথম ম্যাচে হারতে হয়নি। কিন্তু ২৩১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১ রানের জন্য হাতছাড়া হল জয়। যদিও প্রথম একদিনের ম্যাচ খেলতে নামার আগে দলকে উৎসাহিত করে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।দুর্বল শ্রীলঙ্কা দলের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মাদের খুব সহজেই ম্যাচ জেতা উচিৎ ছিল,যা পারলেন না বিরাট কোহলিরা। শুক্রবার কলম্বোয় প্রথম এক দিনের ম্যাচ টাই হয়ে গেল। শেষ দিকে মাথা ঠান্ডা রাখতে না পেরে উইকেট ছুড়ে দিলেন শিবম দুবে এবং আরশদীপ সিংহ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর প্রথম বার নেমে বড় রান পেলেন না বিরাট কোহলি।তবে অধিনায়ক রোহিত অবশ্য অর্ধশতরান করেছেন।
টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বড় জুটি কখনও তৈরি করতে পারেনি। তৃতীয় ওভারেই ওপেনার আবিষ্কা ফের্নান্ডোকে (১) ফেরান আরশদীপ। প্রায় দশ ওভার টিকে থাকার পর শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। এ বার কুশল মেন্ডিসকে (১৪) ফেরান শিবম। রান করতে পারলেন না সাদিরা সমরবিক্রমও (৮)। তবে শ্রীলঙ্কার মান রাখলেন ওপেনার পাথুম নিসঙ্ক (৫৬) রানের ইনিংস খেলেন তিনি। একসময় শ্রীলঙ্কার রান ২০০ পেরোবে বলে মনে হচ্ছিল না। শেষের দিকে ব্যাট করতে নামেন দুনিত ওয়েল্লালাগে। প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন তিনি। সাতটি চার এবং দু’টি ছয়ের সাহায্যে ৬৫ বলে ৬৭ রান করেন দুনিত। সঙ্গে পান ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গকে, তিনি ২৪ রান করেন। শেষ পর্যন্ত আট উইকেটে ২৩০ রানে থামে শ্রীলঙ্কা।
ভারতের শুরুটা ভালই হয়েছিল। প্রথম উইকেটেই উঠে যায় ৭৫ রান। শুভমন গিল ১৬ রান করে আউট হন। গত বছরের এক দিনের বিশ্বকাপের মতোই রোহিত শুরু করেছিলেন আগ্রাসী ভঙ্গিতে। শ্রীলঙ্কার কোনও বোলারই রোহিতের সামনে বল হাতে সফল হওয়ার কোন সুযোগ পাননি। রোহিত যখন আগ্রাসী মুডে ব্যাট করছিলেন তখন কোহলি ধরে খেলার সিদ্ধান্ত নেন, প্রতিটি বল দেখে দেখে খেলছিলেন তিন। তবে বেশি ক্ষণ ক্রিজ়ে টিকতে পারেননি। হাসরঙ্গের বলে ২৪ রানেই ফিরে যান। শ্রেয়সের বদলে ওয়াশিংটন সুন্দরকে চারে তুলে এনে কিছু একটা অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন গৌতম গম্ভীর। তা কাজে লাগেনি। ৪ বলে ৫ রান করে ফিরে যান ওয়াশিংটন। পাঁচ নম্বরে নেমে শ্রেয়সও কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি। ২৩ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন তিনি। ১৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়েছিল ভারত।
সেখান থেকে খেলা ঘোরানোর চেষ্টা করতে থাকেন কেএল রাহুল এবং অক্ষর পটেল। লক্ষ্যমাত্রা বেশি না থাকায় ধরে ধরে খেলার দিকে নজর দেন দু’জনে। ৫৭ রানের জুটি গড়েন দু’জনে। রাহুল (৩১) এবং অক্ষর (৩৩) আউট হওয়ার পরেও মনে হচ্ছিল ভারত জিততে পারে। কারণ তখনও ছিলেন শিবম। শেষ দিকে রানের গতি বাড়িয়ে ম্যাচ ভারতের নিয়ন্ত্রণে এনেই ফেলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাপ ধরে রাখতে পারেন নি তিনি। হাতে ১৮ বল থাকা সত্ত্বেও অকারণে মারতে গিয়ে আউট হন। আরও খারাপ খেলেন আরশদীপ সিংহ। মাত্র এক রান দরকার ছিল ভারতের জিততে। প্রথম বলেই হাঁটু মুড়ে বসে হাসরঙ্গকে চালাতে গেলেন। ব্যাটে-বলে হল না। ডিআরএস নেওয়ার পর এলবিডব্লিউ হলেন আরশদীপ। ২৩১ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে জয় না পাওয়ায় হতাশ ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা।
Discussion about this post