একদিকে টানা বৃষ্টি। অন্যদিকে বিভিন্ন ব্যারেজের ছাড়া জলে ফুঁসছে দ্বারকেশ্বর, দামোদর, মুন্ডেশ্বরী ও রুপনারায়ন। তার ফলে জল থই থই অবস্থা আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন এলাকা। গোঘাটের মাঠের পর মাঠ জমিতে জলমগ্ন অবস্থা। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা আমন ধানের। গৃহবন্দী অবস্থা নকুন্ডা, সাওড়া, কোটা,পাবা গ্রামের একাধিক বাড়ি। বন্ধ একাধিক স্কুল। কোনওরকমে জল পেরিয়ে পারাপার ওই সমস্ত এলাকার মানুষের। অন্যদিকে আরামবাগের দ্বারকেশ্বরের জল ঢুকতে শুরু করেছে বাঁধপাড়া এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে। তার জেরে ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন নদী বাঁধে। সেখানেই তাবু খাটিয়ে চলছে বাড়ি থেকে মালপত্র উদ্ধারের কাজ। পাশাপাশি সতর্কতার জন্য চলছে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং। যদিও এসবের মধ্যে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোঘাট ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য গোঘাটের দলকার জলা ও একাধিক খাল সংস্কারের দাবি জানানো হলেও কোনও কিছুই করেনি। অন্যদিকগে টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে দাবি গোঘাটের বিজেপি বিধায়কের। এমনকি গোঘাটের বিজেপি বিধায়ককেও দেখা যায়নি এই নিয়ে কোনো উদ্যোগ নিতে। তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারকের পাল্টা অভিযোগ, যারা কেন্দ্রের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে তারা মিথ্যা কথা বলছেন। কেন্দ্র অনেক ক্ষেত্রেই টাকা বরাদ্দ করেছে কিন্তু রাজ্য তা নয়ছয় করেছে। পাশাপাশি তার অভিযোগ, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হলে অনেকটা সমস্যা মিটতো কিন্তু রাজ্য সরকারের সেই প্ল্যানেও বাদ দেওয়া হয়েছে আরামবাগ মহকুমাকে। তার ফলে এই দুর্ভোগ রয়েই যাবে বলে দাবি গোঘটের বিজেপি বিধায়কের। তবে এদিন জলমগ্ন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গোঘাটের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন গোঘাট ১ নং বিডিও সম্রাট বাগচি। তিনি জানান, এলাকা নিচু হওয়ার কারণে জল জমে যাচ্ছে।
Discussion about this post