তাজপুরে সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে গিয়ে শনিবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল বন দফতর। তখনই কারামন্ত্রী অখিল গিরির রোষের মুখে পড়তে হয় মহিলা সরকারি আধিকারিককে। তাঁর উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মন্ত্রী। এরপরেই নিন্দার ঝড় ওঠে নানা মহলে। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে মহিলা আধিকারিকের কাছে, নয়তো ইস্তফা দিতে হবে। এরপর রবিবারই মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা করেন অখিল গিরি। সোমবার বিধানসভায় নিজের পদত্যাগ পত্র দিয়ে অখিল গিরি বলেন, “কোনও চাপের মুখে পদত্যাগ করিনি। আমাদের দলের সুপ্রিমো বলেছেন।
তাই পদত্যাগ করেছি। সেই নির্দেশই আমাদের কাছে সব।” তবে এদিন সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত তাজপুর এলাকা। পথ অবরোধ করে তফশিলি মহিলাদের বিক্ষোভ। তাঁদের দাবি, কাঁথির বন আধিকারিক অন্যায় ভাবে রাতের অন্ধকারে আগুন জ্বালিয়ে ও বাঁশ কেটে অস্থায়ী পালা ভেঙে দেয়। বন দফতরের অত্যাচারের প্রতিবাদে তাজপুর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দোকানদার ও এলাকাবাসীর। পাশাপাশি তাঁরা জানান, উচ্ছেদের খবর পেয়েই তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ান অখিল গিরি। তাঁর যেন কোনওরকম শাস্তি না হয়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি গ্রামবাসীদের। একদিকে যখন অখিল গিরির পদত্যাগের পাশাপাশি তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে সরব বিরোধী দলগুলি সহ নানান মহল, তখন এ যেন এক অন্য ছবি দেখা গেল তাজপুরে। তবে, যাঁদের জীবন-জীবিকা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে, তার সমাধান কবে হয়, সেটাই এখন দেখার
Discussion about this post