প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্য। একসময়ে যখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন তখন সৌরভের সঙ্গে বুদ্ধবাবুর নানা অনুষ্ঠানে ছবি দেখা যেত। দুজনের বেশ ঘনিষ্টতা ছিল। সৌরভ যখন গ্রেগ চ্যাপেল আমলে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েন সেই সময়ে বুদ্ধদেব প্রতিবাদ করে তৎকালীন বিসিসিআই সভাপতি শরদ পাওয়ারকে চিঠিও দেন। এমনকি ২০০৬ সালে সিএবির নির্বাচনে সৌরভের শিবিরের প্রসূন বন্দোপাধ্যায় সিএবি নির্বাচনে দাঁড়ান জগমোহন ডালমিয়ার বিরুদ্ধে সমর্থন করেন বুদ্ধবাবু। যদিও সেই নির্বাচনে প্রসূন বন্দোপাধ্যায় হেরে গেলে বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্য মহাকরণে বলেছিলেন, কখন কখনও অশুভ শক্তির জয় হয়। এরপর সিঙ্গুরের ঘটনার সৌরভ টাটা গোষ্ঠীর রাজ্যে থাকার পক্ষেও কথা বলেন। সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্যর প্রয়াণে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজের বাড়িতে জানালেন, ‘আমার সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। পুরোপুরি খেলাপাগল মানুষ ছিলেন। আমি তখন ভারতের অধিনায়ক। আমার সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে বিস্তর আলোচনা হত।
আমি ছ’বছর ক্যাপ্টেন ছিলাম। যত বারই কথা হয়েছে, ক্রিকেট নিয়েই হয়েছে। শুধু সৌরভের ক্রিকেট বা সমকালীন ভারতীয় ক্রিকেট নয়, পঙ্কজ রায়ের ব্যাটিং নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করতাম বরাবর। উনার আত্মার শান্তি কামনা করি।’ সৌরভ আরো জানালেন, ‘কখনও কোনোদিনও রাজনীতিতে আসা বা রাজনীতি নিয়ে কথা বলেননি। সিনেমা দেখতে খুব পছন্দ করতেন। ২০০৮-০৯ সালের পরে আর আমাদের সেভাবে যোগাযোগ হয়নি।’ বুদ্ধদেব ছাড়াও তৎকালীন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও সৌরভের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। সৌরভ লর্ডসে শতরান করে ফেরার পরে কলকাতা পুরসভার তরফে সৌরভকে নাগরিক সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছিল।
Discussion about this post