শুক্রবার ভোর রাতে আরজিকর হাসপাতালের সেমিনার হলে এক মেডিকেল ছাত্রীর হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে তোলপাড় চলছে। ঘটনার নিশংসতায় সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহল স্তম্বিত। ইতিমধ্যেই সমাজের সর্বস্তর থেকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ঘাতকের শাস্তি চাইছেন সংবেদনশীল সমস্ত মানুষ।
পুলিশ ইতিমধ্যে সঞ্জয় রায় বলে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে কতগুলো প্রশ্ন সামনে আসছে। প্রথমত হাসপাতালের ভিতরে তিন তলার ঘরে অতো রাতে এইরকম ঘটনা ঘটানো ইনসাইডার ছাড়া কারো পক্ষে মুশকিল। গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায় আদৌ সরকারিভাবে হাসপাতালের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত নয়। তাহলে সে অত রাতে হাসপাতালে ঘোরাফেরা করবার সুযোগ পেল কিভাবে? তার মানে কি ধরে নিতে হবে আরজি করের মত একটি অভিজাত সরকারি হাসপাতাল গভীর রাতেও বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে পড়ে থাকছে?
দ্বিতীয়ত, সঞ্জয় কি সত্যি দোষী? অথবা গভীরতর কোন চক্রান্ত রয়েছে? ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রদের কারো কারো মতে যে নৃশংসতায় ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে সেটা একা কারোর পক্ষে সম্ভব নয়।
ডাক্তারি ছাত্রদের এই অভিমত অন্য সম্ভাবনার কথাও কিন্তু সামনে আনছে। সামগ্রিকভাবে সামনে আনছে হাসপাতালে চিকিৎসক কর্মী এবং রোগীদের নিরাপত্তার প্রশ্নটি। এখন অব্দি যা জানা গেছে নিহত ডাক্তারি ছাত্রীকে রাত দুটো পর্যন্ত পেশেন্ট দেখতে দেখা গিয়েছিল।
তারপর সে বিশ্রামের প্রয়োজনের সেমিনার রুমে যায়। অন কল জুনিয়র ডাক্তারদের বিশ্রামের কোন জায়গা হাসপাতালের ওয়ার্ডে নেই। সেই কারণেই সেমিনার রুমের মত নানা ঘর কর্তব্যরত অনকল জুনিয়র ডাক্তাররা বিশ্রামের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে বাধ্য হন। আর জি কর কলেজের এই ঘটনা সামগ্রিকভাবে হাসপাতালে পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তার প্রশ্নটি সামনে এনে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আর জি করের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চার তলা থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার অনকল ডিউটিতে ছিলেন ওই চিকিৎসক। শুক্রবার সকালে সেমিলার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। যদিও এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ঘটনাস্থলে যায় ফরেনসিক দল। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি।
Discussion about this post