রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ম্যাচ বাতিলের কারণ হিসাবে বিধাননগর পুলিশ দাবি করে, গোয়েন্দা সূত্রে খবর রয়েছে সাধারণ দর্শকদের মধ্যে ঢুকে অশান্তি তাকাতে পারে কিছু লোক। বিধাননগরের ডিসি অনীশ সরকার একটি অডিও ক্লিপ শুনিয়ে দাবি করেন , কিছুটা লোক দর্শকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে এমন খবর ছিল ।সাধারণ দর্শকের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেও পুলিশ এমনটাই দাবি করেছে ।লেখা হয়েছে ,দুই প্রধানের শান্তিপূর্ণ জমায়েতে আজ যারা অস্ত্র-বোমা নিয়ে অশান্তির ছক কষে ছিল। আজ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জমায়েত অস্ত্র বোমা নিয়ে অশান্তির ছাপ বসেছিল কিছু দুষ্কৃতি উদ্দেশ্য সমর্থকদের বদনাম করা। গোপন সূত্রে এই বিষয়ে কিছু অডিও রেকর্ডিং আমাদের হাতে আসে যার ভিত্তিতে আমরা দুজনকে গ্রেফতার করেছি। মানিকতলা বাগমারির রাকেশ পাল এবং ব্যারাকপুরের শেখ সালমান। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অশান্ত করার এই হীন প্রয়াসের বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। পুলিশের এই যুক্তি কারো পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি । সমর্থকদের ফোন করে হুমকির সুরে মাঠে যেতে বারণ করা হয় ।
আসানসোল- দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের তরফে প্রায় ৩০০ জন কে ফোন করে সল্টলেকে যেতে বারণ করার কথা স্বীকারও করা হয়েছে । প্রতিবাদ চলেছি পুলিশ সমস্যার প্রতিবাদকারীদের সরানোর চেষ্টা করেছেন স্লোগান উঠেছে লাঠিচার্জ করবি কর -জাস্টিস ফর আরজি কর। স্থানীয় বাসিন্দারাও এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের বক্তব্য, আমাদের বিচার চাই । ভিড় থেকে আবার স্লোগান ,ডার্বি কাড়বি কেড়ে নে,মেয়েটাকে ফিরিয়ে দে। নিরাপত্তার জন্য বাতিল করা হয়েছিল ডুরান্ড ডার্বি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী।ডার্বি হলে হয়তো জাস্টিস স্লোগানটাই থাকতো। খেলাটাও হতো ।সত্যি কি নিরাপত্তার কারণে বন্ধ ডার্বি তাহলে এখানে এত পুলিশ বাহিনী কিভাবে মোতায়ন করা গেল? উঠেছে প্রশ্ন।বিধান নগর পুলিশের তরফে যে সমর্থক কে ফোন করা হয়েছিল সেই সৌরিশ বলেছেন ,”এখানে এত পুলিশ। অথচ খেলার জন্য দেওয়া গেল না”। পুলিশের কথা অনুযায়ী যুবভারতী ভিআইপি গেটের ২০০ মিটার দূরেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন তিন প্রধানের সমর্থকরা। কিন্তু তারপরেও পুলিশের লাঠিচার্জ ।তাড়া করে পুলিশ ।সমর্থকদের অনেকেই আটক করা হয় মহিলাদের ওপরও লাঠিচার্জ।
Discussion about this post