যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে যুবশক্তির গলার সিরা ফুলিয়ে স্লোগান দিচ্ছে। ঘটি বাঙাল এক স্বর/ জাস্টিস ফর আরজি কর। চিংড়ি ইলিশ এক স্বর/ জাস্টিস ফর আরজি কর। রবিবার বিকেলে এভাবেই হাত মিলিয়ে ছিল সবুজ মেরুন লাল হলুদ সাদা কালো সমর্থকরা ও হাতে হাত মিলালেন ।তখন শোনা গেল ‘হোক বৃষ্টি মাথায় /তিন ভাই এক ছাতায়’ । বহু ইতিহাসের সাক্ষী মোহন ইস্ট ডার্বি মহারণ ।কিন্তু বাঙালির বড় ম্যাচের শতবর্ষপূর্তির বছরে এবার যা ঘটলো তা বেনজির। কলকাতার মাঠের চিরকালের মোহনবাগান গ্যালারি ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির ফারাক ও মুছে গেল পুরোপুরি ।মাঠে বল এতটুকু না গড়িয়ে, না হওয়া খেলার মুহূর্তেই যেন অবিস্মরণীয় হয়ে উঠলো। বাতিল খেলার বিকেলেই সমর্থকরা গলা মেলালেন। ডার্বি বাতিল করবি কর/জাস্টিস ফর আরজিকর।
শনিবারই সল্টলেক স্টেডিয়ামে রবিবারের ডার্বি বাতিল করে দেওয়া হয়। জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিবাদে ঝড় ওঠে ।রবিবার বিকেলে সল্ট লেক স্টেডিয়ামের ভিআইপি গেটের বাইরে থেকে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেয়া হয়েছিল। যার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিধান নগর পুলিশ। সকাল থেকে স্টেডিয়ামকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছিল। এদিন বিধান নগর পুলিশের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। ম্যাচ হলে সেখানে নিরাপত্তার অভাবের কথা স্পষ্ট মেনে নেওয়া হয়েছে ।তারা বলেছে ৬০ হাজার দর্শকের মধ্যে অনেকেই সাধারণ দর্শক খেলা দেখতে যেতেন তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারতো ।যে কারণে ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ সল্টলেক স্টেডিয়াম। সমর্থকদের দাবি ,আজ যে পরিমাণ পুলিশ এসেছে তা দিয়ে অনায়াসে ডার্বি করানো যেত অথচ প্রতিবাদ মিছিলে কিভাবে এটা সম্ভব হয়েছে পুলিশের তৎপরতা দেখানো উচিত ছিল । আরজি করে তাহলে আমাদের বোনটির এভাবে এমন মৃত্যু হতো না। সেটা না করে খেলার মাঠে এই কাজ করল । আমাদের প্রতিবাদ মিছিল হবেই। আজ ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান সবাই এক। সবাই সবার পাশে থেকে এই লড়াই চলছে চলবে ।
Discussion about this post