প্রথমে তাঁরা পুলিশেই আস্থা রেখে ছিলেন। বিশ্বাস করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর পুলিশরাই পারবে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনে ধরা পড়েছে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই শুরু । এখনও পর্যন্ত সেই শেষ। অর্থাৎ সঞ্জয়ের গ্রেফতারির পর আর কেউ গ্রেফতার হননি। অথচ ঘটনার নৃশংসতা দেখে অনেকেই মনে করছেন এই কাজ কারোর একার পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয়। এরমধ্যে ঘটে গিয়েছে বেশ কিছু ঘটনা। ঘটনার অকুতস্থল সেমিনার রুমের পাশের রুমটি ভাঙা পড়েছে। আর জি করে মেডিক্যালের ইমার্জেন্সিতে ঢুকে লুটপাট হয়েছে রাত দখলের রাতে। সময় যত বাড়ছে স্বাভাবিকভাবে সদ্য মেয়ে হারানো বাবা-মা অস্থির হয়ে পড়ছেন। বেশ কিছু বিষয়ে মুখ খুলেছেন তাঁরা। সম্প্রতি নির্যাতিতার বাবা জানান, পুলিশের অতি তৎপরতার কথা। ময়নাতদন্তের পর হাসপাতাল থেকে দেহ ছাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে মৃতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে।
শ্মশানে আরও তিনটি লাশ থাকলেও তাঁর মেয়ের দেহের আগে সৎকার করা হয়। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মেয়ে মুখ না খুললেও হাসপাতালের বেশ কিছু সিনিয়র সম্পর্কে মেয়ে বাড়িতে বিরক্তির কথা জানিয়ে ছিলেন। ঘটনার দিন হাসপাতালে যাওয়ার পর পুলিশ মেয়ের ব্যাগ থেকে মেডিক্যাল রিপোর্ট বের করে বলেছিল, আপনাদের মেয়ে তো অসুস্থ ছিল। অর্থাৎ কোথাও একটা আত্মহত্যার ইঙ্গিত ছিল। পাশাপাশি নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেছেন, আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগ কিংবা কলেজের কেউ তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। পুরো চেস্ট মেডিসিন বিভাগ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই ঘটনার পর নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেছিলেন আসল অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাল্টা সেই সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে সাফ জানিয়ে ছিলেন, তিনি মনে করেন না সঞ্জয় রায় আসল অপরাধী।
কারণ ফরেনসিক বিভাগের আধিকারিকরাই তাঁকে বলেছেন এই কাজ একজনের দ্বারা করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রে কোথাও একটি চটজলদি মিটিয়ে নেওয়ার বিষয় উঠে আসছে। যা থেকেই এই ঘটনার পেছনে কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির জড়িয়ে থাকার ইঙ্গিত মিলছে।
Discussion about this post