আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তদন্তের নামে মৃত চিকিৎসকের ভিসেরা পরিবর্তন এবং ওয়াশ বেসিন পরিবর্তনে করার অভিযোগ তিনি করেছিলেন। রবিবার হাওড়ায় দলীয় কর্মীদের এক সভা থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। এদিন বিরোধী দলনেতা প্রশ্ন করেন, পানিহাটির যে শ্মশানে ওই নির্যাতিতাকে দাহ করা হয়েছে, সেই দাহের খরচ বাড়ির লোক দেয়নি। তাহলে সেই টাকা দিল কে? শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই ছবি দিয়ে প্রশ্ন করেছেন, সেখানে তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ, ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি অভিষেক গুপ্তা কেন যাবেন? দাহের খরচ না দেওয়া ছাড়াও, সেখানকার খাতায় পরিবারের যে সই করতে হয়, তা করেনি পরিবারের কে। তাহলে সেই সই কে করল? এছাড়াও, ঘটনার দিন থেকেই রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ লোপাটের কাজ করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ঘটনার দিন রাতে তড়িঘড়ি নির্যাতিতার মৃতদেহ সৎকারের সময় যারা উপস্থিত ছিলেন শ্মশানে তারা কেউ ওই এলাকার দায়িত্বে নেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেহ সৎকার শুরু করে দেয় পুলিশ। যদিও শ্মশানে তখন অন্তত ২টি দেহ সৎকারের অপেক্ষায় ছিল।মেয়ের দেহ সৎকারে পুলিশের এই তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃত চিকিৎসকের বাবা। তিনি বলেন, আমার মেয়ের দেহটা আমার চোখের সামনে পুড়িয়ে দিল। আমাদের একবার ভালো করে দেখতেও দিল না। আমার তখন মাথার ঠিক ছিল না। তাই ওদের বাধা দিতে পারিনি। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি সিবিআই তদন্ত হলে সব সত্যি প্রকাশ্যে আসবে।
২০২৪ সাল ৯ আগস্ট কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য যেন এক কালো রাত্রি। আর জি কর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে কর্মরত...
Read more
Discussion about this post