চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের পরে সেই সেমিনার রুমে পুলিশের সামনেই বহিরাগত ভিড়, সামনে এসেছে এমনই একটি ভাইরাল ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছে আরজি কর আউটপোস্টের দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিককে, দেবাশিস সোম এবং সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ একাধিক জনকে। কিন্তু যাঁদের দেখা যাচ্ছে, তাঁরা কেউ দেহ উদ্ধারের জায়গায় যাননি বলে দাবি করা হয়েছে লালবাজারের তরফে ৷ দেহ যেখানে পাওয়া গেছিল তার ৪০ ফুট পর্যন্ত কর্ডন করা ছিল। যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা ওই কর্ডন করা অংশের বাইরে। সেমিনার হলে কোনও বহিরাগত ছিলেন না। দাবি করল পুলিশ। আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেই অভিযোগ উঠেছিল, আরজি করের থার্ড ফ্লোরের সেমিনার রুমে অর্থাৎ ক্রাইম সিনে নানা রকম পরিবর্তন ঘটেছে।
ঘটনার দিন ভিড়ে থই থই সেমিনার হলের একটি ভিডিও সোমবার প্রকাশ্যে আসতেই এই জল্পনার আগুনে ঘি পড়ে। ৪৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনে দাবি করা হয়, দেহ উদ্ধারের পর অকুস্থলে ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের তৎকালীন আপ্তসহায়ক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপের আইনজীবী শান্তনু দে, হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক দেবাশিস সোম। আরজি কর ফাঁড়ির ওসি সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়কেও ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘সেমিনার হলের দৈর্ঘ্য ৫১ ফুট, প্রস্থ ৩২ ফুট। দেহ উদ্ধারের পর ওই ঘরের ৪০ ফুট অংশ পুলিশ ঘিরে ফেলেছিল। হাসপাতাল থেকে নেওয়া সাদা কাপড় দিয়ে ঘেরা হয়েছিল জায়গাটা। ঘরের বাকি অংশ, অর্থাৎ ১১ ফুট জায়গায় কয়েক জন দাঁড়িয়েছিলেন। ভিডিয়োটা সেই জায়গারই।’’ তিনি আরো বলেন, ‘পোরশানটাই কিন্তু, এই এগারো সিটের মধ্যে হয়েছে। বসার ব্যবস্থাও ছিল। কারণ, ওখানে অনেকজন এসে কথা বলছিলেন। নিজেদের দাবি জানাচ্ছিলেন। সেমিনার হলের বাইরে যে করিডরটা, নার্সিং স্টেশন থেকে যে জায়গা আছে, করিডর.. ওখানে কিন্তু অনেকেই ছিলেন। তবে সন্দীপের আইনজীবী সেখানে কি করছে? উত্তরে ডিসি সেন্ট্রাল বলেন, উনি হাসপাতালের আইনজীবী হাসপাতালে এ বিষয়ে বলতে পারবে।
Discussion about this post