টাইব্রেকার শুরুর আগে অভিনব দৃশ্য। মাঝমাঠ থেকে গোলপোস্ট লম্বা পথ একসঙ্গে প্রায় হাত ধরে হেঁটে গেলেন বিশাল কাইথ ও গুরপ্রীত সিং গল্প করতে করতে। খেলা শেষে হাসলেন বিশাল কাইথ মুখ কালো করে ফিরতে হলো গুরপ্রীত কে। যে গুরপ্রীত এখনো জাতীয় টিমে খেলানো নিয়ে অনেক প্রশ্ন। আবার সবার সেরা হয়েও বিশাল কে জাতীয় টিমের বাইরে থাকতে হয়। সেই বিশালের হাত ধরেই আবারো ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগান কোয়ার্টার ফাইনালে পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে বাগান গোলকিপারের হাত হয়ে উঠেছিল ত্রাতা। সেই বিচারের হাত ধরেই আবারো ডুরান্ডের ফাইনালে মোহনবাগান। শুরু থেকেই ব্যাঙ্গালোরের আক্রমণের ঝড়ে রীতিমতো কাঁপুনি শুরু হয়ে যায় মোহনবাগান রক্ষণে ম্যাচের ১২ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল । কোন রকমে বেঁচে যাওয়া মোহনবাগান।
সবুজ বেগুন শিবিরের সমস্যা আরও বাড়ে সাতাশ মিনিটে অধিনায়ক শুভাশিস বসুর উঠে যাওয়ায় তার পরিবর্তে মাঠে নামলেন তরুণ দিব্যেন্দু বিশ্বাস। চাপ আরো বাড়লো মোহনবাগান রক্ষণে ৪১ মিনিটে বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়া বিনীতকে ফাউল করেন লিস্টন। পেনাল্টি থেকে ১-০ করেন সুনীল ছেত্রী। ৪৫ মিনিটে বেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে সংযুক্ত সময়ে (৪৫+২) অনিরুদ্ধ থাপার সেন্টার থেকে করা অ্যালবার্তোর হেড পোস্টে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফের ধাক্কা। আপুইয়ার আত্মঘাতী ব্যাক পাশ হর্ঘে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে পাস দেন বিনীত কে ।তিনি ২-০ করতেই স্তব্ধ হয়ে যায় যুবভারতী। বিশাল কিন্তু ক্রমাগত উজ্জীবিত করে যাচ্ছিলেন সতীর্থদের। ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি বক্স এর মধ্যেই মানবীর সিং কে পেছন থেকে জার্সি ধরে টেনে ফেলে দেন রাহুল ভেকে ।পেনাল্টি থেকে ১-২ করেন দিমিত্রি। খেলা শেষ হবার মিনিট ছয়েক আগে থেকে ডান পায়ের জোরালো সটে অনিরুদ্ধ ২-২ করতেই বিশাল …..বিশাল….. চিৎকার শুরু হয়। টাইব্রেকারে হোলিচরণ নার্জারী এবং আলেকজান্ডার যোভোনোভিচের সট বাঁচিয়ে দলকে ফাইনালে তুলে আরো একবার নায়ক সেই দুর্ভেদ্য বিশাল।
Discussion about this post