ঢাকাতে শুরু হয়ে গিয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি। পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রথমে লিফলেট বিলি করে সাধারণ জনগণের সঙ্গে জনসংযোগ করার চেষ্টা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এখনো সাড়া পাচ্ছেন তারা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ সমর্থকরা এখনো রয়েছেন বাংলাদেশ জুড়ে। চলবে ১৮ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি। শেষ দিনে গোটা দেশজুড়ে হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদি এই পুরো কর্মসূচি সফল হয় তবে প্রমাণিত হবে, ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন পরিকল্পিত এবং ভুয়ো ছিল।
তবে প্রশ্ন উঠছে, শেখ হাসিনা কি বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হয়ে ফেরার ছক কষছেন? এই ছয় মাসে ভারতে থেকে সমস্ত পরিকল্পনা ছুঁকে ফেলেছেন তিনি। এমনকি বুধবার রাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখার কথা ও ঘোষণা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই রাতেই ঘটে গেল বাংলাদেশে ভয়াবহ ঘটনা। আবারো ২০২৪ এর ৪ঠা আগস্ট এর রাতের ঘটনা উসকে দিল। সেই রাতে যেভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি তে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে বুধবার রাতে দেখা গেল তাণ্ডব লীলা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা স্লোগান দিতে দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির চত্বরে প্রবেশ করে। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটে।
তবে প্রশ্ন উঠছে, এই তান্ডব লীলা চালিয়ে কি প্রমাণ করতে চাইলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা? এটা কি শুধুমাত্র খুব এর সঞ্চার থেকে এই ধরনের ঘটনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা? রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশে হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিয়ে? যেভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, এবং এখনো পর্যন্ত হয়ে চলায় কর্মসূচিতে বেশ সফল হয়েছে আওয়ামী লীগ। সেটা থেকেই ভয় পাচ্ছেন নেতারা? যদি কোনভাবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সমর্থন পেয়ে যান শেখ হাসিনা? সেই আশঙ্কা থেকেই তাদের এই ধরনের পরিকল্পিত ঘটনা।
তবে এও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, বুধবার রাতে শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে যে বক্তব্য রাখার কথা ছিল, সেখানে কি এমন বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন হাসিনা? কোনভাবে কি সেই বক্তব্যের আভাস পেয়ে গিয়েছিল ছাত্র নেতারা? এমন কিছু হাসিনার সিদ্ধান্তের কথা কি ঘোষণা করতেন তার কর্মী সমর্থকদের জন্য যেটা তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল? এমন একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Discussion about this post