বাংলাদেশে ঘটনার ঘনঘটা। বিবিসিকে দেওয়া শেখ হাসিনার একটি সাক্ষাৎকার নিয়ে তুমুল হৈচৈ কাণ্ড বাংলাদেশ জুড়ে। সম্প্রতি, সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। সেটা প্রকাশিত হতেই বহু মানুষ দেখে ফেলেছেন। এমনকি অনেকে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। যদিও অনেকে বলছেন, এই সাক্ষাৎকারের ভিডিও অনেক আগের।
দেখা যাচ্ছে এই সাক্ষাৎকারে উপস্থাপক ডেবিট ফ্রস্ট শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি আবারো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান? তার উত্তরে শেখ হাসিনা জানান, সেটা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উপর নির্ভর করে। আমি এখন থেকে কিভাবে বলবো! আমি তো সবসময়ই দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। আমি জনগণের জন্য কাজ করতে চাই।
তবে মনে করা হচ্ছে এই সাক্ষাৎকারটি সাম্প্রতিক সময়ে দেওয়া কোনও সাক্ষাৎকার নয়। তবে তার এই বক্তব্য তুমুলভাবে ভাইরাল হয়েছে। সব থেকে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্র নেতাদের কার্যত স্পষ্ট।
এর মধ্যেই সামনে এল ভয়াবহ ঘটনা। বুধবার রাতে শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। এই খবর প্রকাশিত হতেই ছাত্র নেতারা শেখ মুজিবর রহমানের 32 নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে ফেলা হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয়। এমনকি বাদ যাইনি মিউজিয়ামও। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত সমস্ত জিনিসই পুড়ে খাক হয়ে যায় ওই আগুনে।
তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। গতবছর ৪ ঠা আগস্ট এর রাতেও দেখা যায় ওই বাড়িটিতে অগ্নিসংযোগ করতে। সেইদিনই বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। আবারো সেই বাড়িতেই হামলার ঘটনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে লাভ টা কি হল? এটা কি শুধুই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ? নাকি এটা বুঝিয়ে ফেলা হল, ছ মাস কেটে গেলেও এখনও দমে যাইনি ছাত্র নেতারা। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে, যেভাবে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মধ্যে কর্মসূচি শুরু করেছে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ফেরার পরিকল্পনা করছেন, তাতে ঘুম উড়েছে ছাত্র নেতাদের। কারণ তার একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। তার মধ্যেই যদি হাসিনা দেশে ফিরে আসে, তবে তাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যাবে। আর সেই আশঙ্কা থেকেই এই কার্যকলাপ। যে তাণ্ডব লীলা দেখলেও গোটা বিশ্ববাসী।
Discussion about this post