বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে কি হচ্ছে? পাশাপাশি শেখ হাসিনা কি দেশে ফিরতে চলেছেন? এই ধরনের প্রশ্নগুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে ওপার বাংলাতে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে এদেশেও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। এই আবহে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার দুটো দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নাগরিকরা সে দেশে প্রবেশ করতে পারবে না। পরবর্তীকালে সেই দেশের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে খবর। বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা তিন দেশ বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আলোচনার আবহে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের এক উপদেষ্টা স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশের মানুষের যে দাবি, বা যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সাধারণ জনগণকে, তা পূরণ করা হয়নি।
তবে এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর মধ্যে কি এমন চলছে, যা সাধারণ মানুষকে বুঝতে হিমশিম খাইয়ে দিচ্ছে। খবর রয়েছে, সেনাপ্রধান একশন নিতে শুরু করেছেন। তবে সাধারণ জনগণ যাতে বুঝতে না পারে, সেই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি শেখ হাসিনা ২৩ শে মার্চের মধ্যে নাকি বাংলাদেশের প্রবেশ করবেন। অবশ্য সেটা আগেই আঁচ করা গিয়েছিল। আওয়ামী লীগের ভার্চুয়াল বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি দেশে ফিরবেন। যত দ্রুত সম্ভব তিনি ফিরবেন। এমনকি সমস্ত হত্যাকান্ডের বিচার হবে। ইউনূসেরও বিচার হবে। শুধু তাই নয়, তিনি স্পষ্টত উল্লেখ করেছিলেন, যে নিজে বলেন দেশ চালাতে ব্যর্থ, তাকে দেশের শীর্ষ পদে বসিয়ে রাখার অর্থ কি? এমনকি ক্ষমতার অলিন্দে বসার জন্য হত্যা করা, প্রতিষ্ঠা ভাঙচুর করা, এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটাবেন কেন? অর্থাৎ হাসিনা বলতে চেয়েছেন, ইউনুস মনে প্রাণে চান তার সিংহাসন কে বাঁচিয়ে রাখতে। তার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করবেন। ঘটনাচক্রে, এই পরিস্থিতি এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশে গঠন হয়েছে একটি নতুন দল। সেই রাজনৈতিক দল ইউনূসের মধ্যেই হয়েছে বলে প্রবলভাবে চর্চিত হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার বার্তা, সেটা বাস্তবায়িত হয় কিনা সেটাই দেখার।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, শেখ হাসিনার দেশে ফেরার খবর যখন প্রবল ভাবে চাউর হচ্ছে দেশের অন্দরে, তখন সেনাপ্রধান ও কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশকে আয়ত্তে ফেরাতে। তবে কি এই দুই ঘটনার মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে? তবে তার উত্তর দেবে সময়। এখন দেখার, ২৬ শে মার্চ এর আগে অর্থাৎ ২৩ শে মার্চ কি হতে চলেছে!
Discussion about this post