আরাকান আর্মি ক্রমশ ভয় ধরাচ্ছে ইউনূস প্রশাসনকে। ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম সংলগ্ন এলাকায় আরাকান আর্মিদের দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শক্তি জোগাচ্ছে তারা। বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র নিচ্ছে আরাকান আর্মি। চট্টগ্রাম লাগোয়া অঞ্চলে আরাকান আর্মিরা। যত দিন যাচ্ছে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করছে তারা। উন্নত অস্ত্র আমদানি করছে। ইতিমধ্যেই মায়ানমার থেকে প্রচুর অস্ত্র নিচ্ছে আরাকান আর্মিরা। পাশাপাশি তারা একাধিক দেশ থেকে অস্ত্র কেনার কথা ভাবচ্ছে। যা নিয়ে চরম বিপাকে বাংলাদেশের তদারকি সরকার।
বলাই বাহুল্য, ঠারে ভারে আরাকান আর্মি বুঝিয়ে দিচ্ছে কতটা শক্তিশালী তারা। এদিকে তাদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারবে না বুঝে মিশরের শরণাপন্ন হচ্ছে বাংলাদেশ, খবর সূত্রের। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের বেশ খানিকটা রয়েছে রাখাইন রাজ্য এবং খানিকটা বাংলাদেশের মধ্যে। শোনা যাচ্ছে, যে বোমা বর্ষণের কথা প্রকাশ করেছে আরাকান আর্মি, তা বাংলাদেশের মধ্যে হয়েছে বলে দাবি তাদের। যদিও বর্ডার থেকে খুব বেশি ভিতরে নয়। তবে বাংলাদেশের মধ্যে এই ধরণের খবর সামনে এলে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম তা একেবারে স্পষ্ট করে জানাতো। বা দেশের অভ্যান্তরে একটি শোরগোল পরিস্থিতি তৈরি হত। তবে এই ভিডিও প্রকাশের পর অনেকে বলছেন, আরাকান আর্মির এই সুরায়াত। তারপর ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়, তার উত্তর দেবে সময়। তবে বাংলাদেশের সরকার আরাকান আর্মি নিয়ে যতই চুপ করে থাকুক, বাংলাদেশের মাটিতে যে আঘাত এসেছে, তা নিশ্চিত। অন্যদিকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের দাপট দেখা যাচ্ছে। তাও অস্বীকার করার মতো নয়। রোহিঙ্গাদের বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো।
রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করে, আরাকান আর্মির আতঙ্ক বাংলাদেশ তার নিজের ভুলেই ডেকে নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশের ছাত্র নেতা মেহফুজ আলম একটি বাংলাদেশের ম্যাপ প্রকাশ্যে আনেন। সেখানে ভারতের কিছুটা অংশ ওই ম্যাপের মধ্যে রাখেন। যদিও সেই পোস্টটি তিনি দু ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে নেন। কিন্তু সেখান থেকে নানা বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের তরফ থেকে আসা একাধিক মন্তব্য নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে সাবধান করে দিয়েছে বাংলাদেশের তদারকি সরকারকে। বাংলাদেশ কোনও দেশ থেকেই সেভাবে সাহাষ্য পাচ্ছে না, তা কিন্তু একেবারেই স্পষ্ট। আরাকান থেকে বাঁচতে কার্যত বাংলাদেশ চাপে পড়়েছে তাও প্রায় প্রকাশ্যে। এইবার আরাকন আর্মিদের সঙ্গে না পেরে উঠে মিশরের কাছে ছুটল বাংলাদেশের তদারকি সরকার। এখন দেখার, মিশরের থেকে কতটা সাহাষ্য পায় বাংলাদেশ বা আদেও সাহাষ্য পায় কিনা! প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম লাগোয়া অঞ্চলে আরাকান আর্মিরা। যত দিন যাচ্ছে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করছে তারা। উন্নত অস্ত্র আমদানি করছে। ইতিমধ্যেই মায়ানমার থেকে প্রচুর অস্ত্র নিচ্ছে আরাকান আর্মিরা। পাশাপাশি তারা একাধিক দেশ থেকে অস্ত্র কেনার কথা ভাবচ্ছে। যা নিয়ে চরম বিপাকে বাংলাদেশের তদারকি সরকার। এখন দেখার, যে চট্টগ্রাম নিয়ে আশঙ্কা বাংলাদেশ অন্তবর্তী সরকারের, সেই চট্টগ্রামে আদেও বাঁচাতে পারে কিনা বাংলাদেশ।
Discussion about this post