বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি চীন সফর করেছেন। সফরে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধানসহ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, বর্তমান বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি ভৌগোলিক নানা বিষয়ে তিনি আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশ সমুদ্র অঞ্চলের অবিভাবক! বলে দাবি নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সেখানে চিনের বাণিজ্যমহলকে আকর্ষিত করতে তার এহেন বক্তব্য রেখেছিলেন বলেই অভিমত কূটনৈতিক মহলের।
চিনের বাণিকদের বাংলাদেশে ডেকে আনতে তিনি ভারতের সেভেন সিস্টার্স বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকেও উপেক্ষা করতে ছাড়লেন না। চিনকে বাংলাদেশের বন্দর দান করতে ভারতের সাতটি রাজ্যের প্রসঙ্গও তুলে আনলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতের ৭টি রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা তুলে ধরেন ড. ইউনূস।
চীন সফরে একটি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ইউনুস বলেছিলেন, ‘ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত সাতটি রাজ্য সম্পূর্ণরূপে স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। সমুদ্রের কাছে পৌঁছানোর কোনো উপায় নেই তাদের। এই অঞ্চলের জন্য আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’
ড. ইউনূসের এমন মন্তব্য নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহল এবং সংবাদমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তারা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে রীতিমতো হতভম্ব। ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের কেউ এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছেন, কেউবা এমন বক্তব্যকে প্রহসন বলে মনে করছেন ।
ভারত সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘ভারতের সাতটি রাজ্য স্থল বেষ্টিত হওয়ার তাৎপর্য আসলে কী?’ ‘বাংলাদেশের তথাকথিত গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থান সর্বদাই ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ ছিল।’
সেই সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি দেশটির সংবাদ মাধ্যম এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের সমুদ্র প্রবেশাধিকার নিয়ে বাংলাদেশ সঙ্গে ইতিমধ্যে চুক্তি রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস এর এই মন্তব্য অত্যন্ত হতাশাজনক। একইসঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘উত্তর–পূর্বাঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই ড. ইউনূসের এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার কোনো অধিকার নেই।’
অর্থাৎ মোহাম্মদ ইউনুছের মন্তব্যকে একেবারেই নেওয়া উচিৎ হবে না ভারতের অভিমত রাজনৈতিক মহলের।
Discussion about this post