পদ্মাপাড়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মোঃ ইউনূসের নতুন পরিকল্পনা সামনে আসছে।গত বছর বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে পড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে হয় শেখ হাসিনাকে। গঠিত হয় মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলো বাংলাদেশে। এরপর থেকে সেদেশে শুরু হয়েছে প্রতিনিয়ত খুন, মারধর, চুরি, ডাকাতি, নারী ও শিশু নিগ্রহ এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। যা থামানোর কোনও লক্ষণ দেখাচ্ছে না মুহাম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকার।তবে এখন সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়, হাসিনা পরবর্তী সময়ে দেশের নাগরিক কি পেলেন সেটা নিয়েই এখন ক্ষুব্ধ অধিকাংশ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে কী বলছেন আমজনতা
সাধারণ মানুষের বক্তব্যে একটা বিষয় স্পষ্ট, নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের আমজনতার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। সাধারণ মানুষ কোনভাবেই আর বাংলাদেশের সরকারি পদে দেখতে চান না ইউনুস ও তার উপদেষ্টা মন্ডলীকে। গণঅভ্যুত্থানে সেদেশের সাধারণ মানুষ যেখানে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার পতন চেয়েছিল আর সেটাই ঘটেছিল। সেখানে তবে কেন এত বিশৃংখলা কেন এত মতভেদ? এমনকি এই প্রশ্ন উঠছে মোহাম্মদ ইউনুসের আমলে এবার প্রকৃতই কি দেশবাসী সুরক্ষিত থেকে জীবনযাপন করতে পারছেন? সাধারণ মানুষ ইউনূসকে ক্ষমতায় রাখতে চাইছেন না কিন্তু,
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস তিনি কি সে দেশের সরকারি দায়িত্বে স্থায়ী হতে যাচ্ছেন? তিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের যে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন সেই গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থায়ী থাকার আকাঙ্ক্ষা কি মনের মধ্যে লালন করে চলেছেন? সাম্প্রতিককালে জানা যাচ্ছে মোহাম্মদ ইউনুস তিনি নিজের সরকারি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে একেবারেই নারাজ।
উল্লেখ্য ঈদের উৎসবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস, ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।সোমবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশে করা বক্তৃতায় প্রধান উপদেষ্টা এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ একটা অটুট ঐক্য গড়ে তোলার দিন। আমরা স্থায়ীভাবে এই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। ঈদের জামাতে এটাই আমাদের কামনা।’সূত্রের খবর, অন্যদিকে চিন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে সাক্ষাতে ভারতের বিরুদ্ধে নয়া পরিকল্পনা তৈরি করে এসেছেন ওপার বাংলার প্রধান। শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করে ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরের কাছে নদী প্রকল্প অর্থাৎ চিকেন নেকে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন ইউনূস। ভারতের মূল ভূখণ্ড ও উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যের সাথে সংযুক্ত এই চিকেন নেক করিডরে চিনকে বিনিয়োগ করার আমন্ত্রণ জানানো মানে তা ভারতের জন্য হুমকি স্বরূপ।
Discussion about this post