একদিকে জ্বলছে পাক-আফগান সীমান্ত। পাক আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছে তালিবান। ফিদাইন বাহিনীকে আক্রমণ চলছে লাগাতার। একেবারে তপ্ত সীমান্তবর্তী এলাকা। অন্যদিকে বাংলাদেশের হাতে আসতে চলেছে ফাইটার জেট-সহ অত্যাধুনিক অস্ত্র। পাল্টা পদক্ষেপ ভারতেরও। ভারতের হাতে আসতে চলেছে অগ্নি-ফাইভ। এইবার কি গেম চেঞ্জার হতে চলেছে এই অগ্নি-ফাইভ।
প্রত্যেকদিন বাংলাদেশে চলছে নতুন নতুন ঘটনার সূত্রপাত। কখনও তাদের দেশের অভ্যান্তরের সমস্যা। কখনও আবার সীমান্তে আরাকানদের দাপট। ভারত বিরোধী জিগির তো রয়েছেই। সেন্ট মার্টিনও এসেছে আলোচনায়। এইবার সামনে এল আফগানিস্তানের শাসক গোষ্ঠী তথা তালিবানি ফিদাইন গোষ্ঠী আক্রমণে নেমে পড়েছে। প্রায় যুদ্ধ ঘোষণা হওয়ার মতো। এদিকে পাকিস্তানের থেকে বাংলাদেশ একাধিক উন্নতমানের যুদ্ধাস্ত্র নেওয়ার কথা ভাবচ্ছে। ইতিমধ্যে সূত্র মারফৎ খবর, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র। ২০২৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের হাতে আসতে চলেছে একঝাঁক উন্নত যুদ্ধাস্ত্র। ব্যাপক হারে অর্থ ব্যায় করে তুরস্ক, পাকিস্তান থেকে যুদ্ধাস্ত্র নিচ্ছে বাংলাদেশ। তার অভিমুখ যে ভারতের দিকে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। তবে হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারতও। তা হল অগ্নি ফাইভ।
যা গেম চেঞ্জার হতে চলেছে ভারতের। এতদিন আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের হাতে এই উন্নতমানের প্রযুক্তি ছিল। এবার ভারতও এই অত্যাধুনিক অস্ত্র আসতে চলেছে। এটির রয়েছে একসঙ্গে ১১টি টার্গেট হিট করার ক্ষমতা। সম্ভবত আমেরিকা এবং রাশিয়া ছাড়া আর কোনও দেশের হাতে নেই। রাফাল তে রয়েছেই। ডবল ইঞ্জিনযুক্ত রাফাল যুদ্ধক্ষেত্রে ছবি পর্যন্ত তুলে নিয়ে আসতে পারে। এমনকি সামনে এসেছিল সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে সুখোই ৫৭। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট। এর প্রতিদ্বন্দ্বী হল এফ ৩৫ আমেরিকা। যা আমেরিকা-সহ ন্যাটোর গোষ্ঠীবদ্ধ দেশগুলি এই প্রযুক্তি সামনে এনেছে। এফ ৩৫ আমেরিকার সঙ্গে সুখোই ৫৭, যা রাশিয়া থেকে পেতে চলেছে ভারত, তুল্যমূল্য বিচার করলে দেখা যাচ্ছে… সুখোই ৫৭-এর রয়েছে ডবল ইঞ্জিন। যা এফ ৩৫ আমেরিকায় রয়েছে একটি ইঞ্জিন। এমনকি তথ্য বলছে সুখোই ভাসমান অবস্থায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা ফাইট করতে পারে, যেটি এফ ৩৫ পারে সাড়ে তিন ঘন্টা। সুখোই ৫৭, ৩৫ হাজারেরও বেশি অস্ত্র বহণে সক্ষম। যেটি এফ ৩৫, ৩১ হাজার অস্ত্র বহণ করতে পারে। অর্থাৎ, বলাই বাহুল অনেক বেশি শক্তিশালী সুখোই ৫৭।
এদিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে রয়েছে পাকিস্তানের দিকে। যে পাকিস্তান এখন প্রায় দেওলিয়া একটি দেশ। কার্যত তাদের একদিকে আক্রমণ চালাচ্ছে তালিবান অন্যদিকে সীমান্তে বালুচিস্তান। বাংলাদেশেরও চারিদিকের পরিস্থিতি একেবারে শোচনীয়। সেই অবস্থায় এত অর্থ ব্যয় করে কীভাবে তারা দেশকে বাঁচাতে পারবে, সেই প্রশ্নই কার্যত উঠছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে, সুখোই ৫৭, অগ্নি-ফাইভ…এই ধরণের যুদ্ধাস্ত্র হল এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গেম চেঞ্জার। ভারত যেভাবে রণসজ্জায় সজ্জিত, তাতে বাংলাদেশের মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার, বাংলাদেশের এত হুমকি, ইউনূস সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা, ভারতকে বিপাকে ফেলার কৌশলে আদেও পরিবর্তন আসে কিনা।
Discussion about this post