জুলাই অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। সে সময় দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। জানা গিয়েছিল, শেখ হাসিনাকে জোর করে পদত্যাগপত্র তে সই করিয়েছিলেন সেনাপ্রধান তবে কি এই সমস্ত কিছুর পিছনে সেনাপ্রধান আছেন নাকি বাংলাদেশের মানুষের রোষে পরেই হাসিনার পতন ঘটল? উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এবার সামনে এল, জাতি সংঘের কিছু তথ্য।
আলজাজিরা সংবাদপত্রের তরফে প্রকাশ করা একটি প্রবেদিন অনুযায়ী, রাষ্ট্রসংঘ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র টিকে সদর দফতরে জমা দেওয়ার কথা বলেছে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে। তবে এই নির্দেশটি এসেছে, রাশিয়া এবং আরব আমিরশারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। এই আবেদনকে সমর্থন জানিয়েছে, ভারত, চীন সহ বেশ কিছু দেশ। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্র সংঘ এই নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র দেখাতে হবে। যদি সাত দিনের মধ্যে রাষ্ট্র সংঘের সদর দফতরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার না দেখাতে পারে তবে এই সরকারকে বাতিল ঘোষণা করবে রাষ্ট্র সংঘ। এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে আলজাজিরার সূত্রে। এক্ষেত্রে যদি অন্তবর্তীকালীন সরকার বাতিল হয়, তবে সরকারের অনুপস্থিতিতে দেশের শাসন ভার নেবে সেনা। এমনকি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে দেশে নিয়ে যাবে। সমস্ত শাসন ভার দিয়ে দেওয়া হবে হাসিনাকে।
অর্থাৎ প্রবলভাবে বাংলাদেশে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর। চাপে পড়েছে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার। আলজিজারা থেকে পাওয়া খবর যদি সত্যি হয়, এবং ইউনূসের সরকার যদি হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখাতে না পারে, তবে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। শুধু তাই নয়, সরকার পড়ে যাবে। অর্থাৎ অন্তবর্তী সরকার বলে আর কিছু থাকবে না। এর পাশাপাশি হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, তারাও প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসবে। তাদেরও শাস্তি হবে বলে খবর।
তবে কি এবার সত্যিই বাংলাদেশে ফিরতে চলেছেন শেখ হাসিনা? আর যদি ফেরেন, তবে সাধারণ মানুষের সমর্থন পাবেন তিনি? এমন নানা প্রশ্ন উঠে আসছে। এখন দেখার, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নির্দেশ পালন করতে পারেন কিনা মোহম্মদ ইউনুস!
Discussion about this post