একাধিক সূত্র মারফত এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে নাকি হাসিনা এক গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। গত রবিবার কলকাতার রাজারহাট নিউটাউন প্লাজায় একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন শতাধিক নেতাকর্মী। যার মধ্যে অন্যতম সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ রেহানা পুত্র রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, বাহাউদ্দিন নাসিম, গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ আরো অনেকেই। আর এই ইফতার শেষেই তারা একটি গোপন বৈঠক করেন বলে জানা যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হাসিনার এই গোপন বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হলো?
বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের আওয়ামী লীগের নেতারা গত কিছুদিন ধরে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। তাদের মূল টার্গেট ড. মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ও দেশের সেনাবাহিনীকে প্রশ্নের সম্মুখীন করা। আর এভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে সেই সুযোগে দেশে প্রবেশ করা। শুধু এতটুকুই নয় আসন্ন ঈদকে ঘিরে নয়া ষড়যন্ত্রের প্ল্যান করা হয় গোপন এই বৈঠকে।
উল্লেখ্য,আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা ভারতে ও দেশে গোপন স্থানে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। আওয়ামী লীগের গুজব সেল সিআরআই ঢাকায় টাকা বিলি করছে এবং গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নাশকতার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে হাজার হাজার বৈধ ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ভীতি ও উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা ভারটের আশ্রয় থাকলেও, তিনি সেখান থেকে টেলিফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ড. ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে নানা হুমকির অডিও রেকর্ড ভাইরাল হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ফাঁস হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের হোয়াটস্যাপ কনভার্সেশনের পর ঢাকায় চুরি, ছিনতাই এবং ডাকাতির ঘটনা আরও বেড়ে যায়।
এবার আওয়ামী লীগের গোপন বৈঠকের নয়া এই ষড়যন্ত্র নিয়ে সজাগ থাকতে হবে জনসাধারণসহ অন্তর্বর্তী সরকারকে এমনটাই অভিমত বিশেষজ্ঞ মহলের। হাসিনার দোসরদের ছাড় দেওয়া যাবে না কোনভাবেই। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে সফল করতে হলে হাসিনার দোসরদের তাড়াতে হলে এখনি রুখে দাঁড়াতে হবে ওদের বিরুদ্ধে। পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় দরকার হলে পাহারা বসাতে হবে, এমনটিই মনে করেন দেশের সচেতন নাগরিকরা।
Discussion about this post