২০ জানুয়ারি আমেরিকার মসনদে বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বড় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। পাশাপাশি এর প্রভাব বাংলাদেশও পড়তে চলেছে। আর ট্রাম্পের বসার আগের দিন অর্থাৎ ১৯শে জানুয়ারি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। সেটি এখন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সবথেকে চর্চার বিষয়।
সূত্র মারফত খবর, মার্চের আগে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রত্যপণ করবেন। তার আগে উনিশে জানুয়ারি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। তবে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় নাকি ভারতীয় কোনও মিডিয়ার মাধ্যমে এই ভাষণ রাখবেন তা এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি। তবে তার বার্তার জন্য আওয়ামী লীগের সমর্থকরা পাশাপাশি বাংলাদেশের বহু সাধারণ নাগরিক মুখিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে ২০শে জানুয়ারি ট্রাম্প আমেরিকার সিংহাসনে বসার পর বাংলাদেশ থেকে সমস্ত জঙ্গি মুক্ত করবেন। এমনটাই ট্রাম্পের পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশে কোনওরকম শান্তি ফেরেনি। বরং বারে বারে বিভিন্ন ইস্যুতে অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। কখনো সনাতন হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া এমনকি নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতনের খবর উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহু গণমাধ্যম সূত্রে। এমনকি সেই খবর সম্প্রচার করেছে ভারতের একাধিক গণমাধ্যম। প্রথম দিকে ইউনুস একাধিক জায়গায় বলেছে মিথ্যে সম্প্রচার করছে ভারত। যদিও বা পড়ে সে সমস্ত ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবি করেছেন তিনি। অর্থাৎ বাংলাদেশের অন্দরে যে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এর সঙ্গে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারির পর আরো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে সে দেশে। অনেকগুলি মাস কেটে গেলেও এখনো জেলবন্দি রয়েছেন সন্ন্যাসী চিনময় কৃষ্ণ প্রভু। সেই ঘটনার প্রতিবাদে পদ্মা পাড়ের দেশে রাজপথে নেমেছিল সনাতনীরা। এমনকি সেই ঘটনার প্রতিবাদ এপার বাংলার রাজপথেও আছড়ে পড়েছিল। দিকে দিকে বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল এই ঘটনায়। এমনকি ভারত সরকারও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া বার্তা পাঠিয়েছিল। কিন্তু তারপরও টনক নড়েনই ইউনুস সরকারের। বরং উল্টে সেখানকার মাথা ছাড়া দেওয়া কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা একের পর এক ভারতবিদ্বেষী মন্তব্য লাগাতার দিয়ে যাচ্ছে। তাতে রাস টানে নি ই তদারকি সরকার। সম্প্রতি সেভেন সিস্টার্স দখলের হুমকি এসেছিল বাংলাদেশ থেকে। শুধু তাই নয় কলকাতা দখলেরও হুমকি দিয়েছিল মৌলবাদীরা। তাতে অবশ্য মাথাব্যথা নেই ভারতের। একটি ৩৭ তম স্থানে থাকা দেশ চতুর্থ স্থানে থাকা দেশকে হুমকি দেয় কিভাব? এর পিছনে যে পাকিস্থানের হাত রয়েছে তা মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ট্রাম্প পাকাপাকি ভাবে আমেরিকার ক্ষমতায় আসীন হলে চাপ বাড়বে ইউনূসের। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদীর সাহায্যে ফের বাংলাদেশে প্রত্যপর্ন করবে হাসিনা। তখন যে ইউনূসের দাদাগিরি শেষ হবে, তা তিনি নিজেও জানেন। এখন দেখার, কি পরিণতি হয় বাংলাদেশের!
Discussion about this post