বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মোদী ইউনূসের বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই ভারত নিজের ক্ষমতা নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে যায়। যেখানে বাংলাদেশ সুবিধাবার বদলে আর্থিক দিক থেকে আরো চাপে পরল। ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা একতরফাভাবেই বাতিলের নির্দেশ দিল ভারত। এরপরেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার গলায় শোনা গেল অন্য সুর।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই প্রতিনিয়ত ভারতের বিভিন্ন পদক্ষেপের পরই কিছুটা সুর নরম হয়েছে। বাংলাদেশের আর এবারও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের নয়াকৌশল সুর বদল করলো বাংলাদেশের। ভারতের তরফে ট্রান্সলেট সুবিধা বাতিলের নির্দেশের পর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কোন সুরে কথা বললেন শুনুন,
সে দেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য শুনে একটা প্রশ্নই উঠে আসছে, কোথায় গেল বাংলাদেশের দাপট? যে দেশের সরকারের প্রধান বিদেশ সফরে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করেন সেই দেশের আধিকারীক ভারতের সুরে সুর মেলাচ্ছেন? যেমন নির্বাচন প্রসঙ্গে ভারত সরকার বলেছে যতদ্রুত তার সঙ্গে সম্ভব বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই কথায় সম্মতি জানিয়ে বলেছেন বাংলাদেশও ঠিক তাই চায় যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করাতে চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যদি এর আগে যতবার ভারত নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেছে ততবার বাংলাদেশের তরফ থেকে দাপটের সুরে বলা হয়েছে তাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতকে না গলাতে। কিন্তু এই ঘটনার প্রসঙ্গ একেবারেই আলাদা। তাই বলা যায় যে ভারত হয়তো একেবারে মোক্ষম চাল দিয়েছে বাংলাদেশের জন্য।
উল্লেখ্য সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যকলাপের জেরে ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নিতেই হলো। ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সেপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত অর্থাৎ ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় কোন দেশে বাংলাদেশের পণ্য পাঠানোর সুযোগ বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। আর সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ২০২০ সালের ২৯ শে জুনে জারি করা সার্কুলার বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এবং সংশোধিত এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরও হবে।। তবে তার আগের সার্কুলারের প্রক্রিয়া অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশে কার বুকে ভারতীয় অঞ্চল ত্যাগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণদীপ জাসওয়াল তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় বিমানবন্দর গলিতে পণ্যের সমস্যা দেখা গিয়েছিল যার ছেড়ে এই সিদ্ধান্ত ভারতের তবে এই ট্রান্সলেট সুবিধা বাতিলের ফলে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের উপর কোন প্রভাব পড়বে না। এখন দেখার এই সিদ্ধান্তের পরে বাংলাদেশের অর্থনীতি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Discussion about this post