চীন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। বলা হয়েছিল, তিস্তা মহা প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে তিনি নাকি চীনে ছুটে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি ভারতকে চাপে রাখতে চীনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশ এমন কিছু করবে, যাতে ভারতের পক্ষে মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়বে। কিন্তু আদতে সেটা ঘটল না। চীন বাংলাদেশের মুখ পুড়িয়ে ছাড়ল। গতকাল ভারত এবং চীনের সম্পর্কের ৭৫ তম বর্ষ ছিল। সেই মতো একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সেই উপলক্ষে ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ফোন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিং পিং। তারপর চীনের তরফে একটি সরকারিভাবে বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে জানাই, এই মুহূর্তে সম্পর্ক তারা ভালো করতে চাইছে। তারা ভারতের সঙ্গে কোনও বিতর্ক চাইছে না। ভারতের সঙ্গে লং ট্রাম বিল করতে চেয়েছে। সি জিং পিং বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক গভীরে নিয়ে যেতে হবে। তাতে গোটা বিশ্বের উন্নতি হবে। কোনওরকম এতে দ্বিধা নেই। এমনকি তিনি বলেছেন, সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সেটা এই মুহূর্তে এড়িয়ে যেতে হবে। প্রয়োজন পড়লে সমঝোতা করে পদক্ষেপ করতে হবে। তবে কোনো রকম ভাবে দ্বন্দ্ব তৈরি করলে হবে না। এমনকি এটাও বলে দিয়েছেন, তৃতীয় কোন দেশ দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইলে, ভারতবাসী যেন কোনো রকমই প্রভাবিত না হয়। অর্থাৎ মহম্মদ ইউনূস যা চেয়েছিলেন, সেটা আর ধোপে টিকল না।
সম্প্রতি চীন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। তিনি চীনে গিয়ে সেখানকার রাষ্ট্রপ্রধান সি জিং পিং এর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। পাশাপাশি তিনি কয়েকটি শিল্পপতিদের সঙ্গেও কথা বলেন। মহম্মদ ইউনূস মন্তব্য করেন, ভারতের সেভেন সিস্টার্স স্থল বিশিষ্ট। কাজেই তাদের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর নির্ভর করতে হয়। এক্ষেত্রে ভারতের বাণিজ্যিকের জন্য বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হতে পারে। অর্থাৎ এটি চীনা অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ হতে পারে। বারে বারে চিকেন নেক কে টেনে মন্তব্য করছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি মনে করেছিলেন চীনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন। কিন্তু চীনের রাষ্ট্রপ্রধানের বক্তব্য স্পষ্ট হয়ে গেল, তারা ভারতকেও চটাতে চায় না। সেই কারণেই এই ধরনের একটি সরকারি বিবৃতি দিয়ে বিষয়টা পরিষ্কার করে দেওয়া হল।
অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, মোহাম্মদ ইউনূসের আগেই বোঝা উচিত ছিল, তিনি বাংলাদেশের একটি অস্থায়ী সরকারের প্রধান। অর্থাৎ কোন রাষ্ট্রপ্রধানই চাইবে না, একটি দেশের অস্থায়ী সরকারের সঙ্গে কোন রকম প্রকল্প বা বিল পাস করাতে। তাও আবার চীনের মত একটি চতুর দেশ। কাজেই ইউনূসের স্বপ্ন যে এবারেও বাস্তবায়িত হল না, সেটা পরিষ্কার।
Discussion about this post